পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৬৯ ]

দিতেছেন জানিতে চাহেন। শ্যামাচরণ বাবু মারওয়াড়ীদিগের ও ছাত্রদিগের বস্ত্রবিক্রয় ব্যাপারে নিয়মের কোন তারতম্য করিতে স্বীকার না করায় ম্যাজিষ্ট্রেট বাহাদুর তাঁহাকে নিজ প্রকৃতি সুলভ ভাষায় ভয় প্রদর্শন করেন এবং পদচ্যুত করিতে চাহেন। শ্যামাচরণ বাবুও ছাড়িবার পাত্র নহেন, নিজ পদমর্য্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখিয়া ম্যাজিষ্ট্রেটকে উপযুক্ত উত্তর দান করেন এবং পদচ্যুত করিবার অধিকার ম্যাজিষ্ট্রেটের নাই ইহা ক্রুদ্ধ হুজুরকে বুঝাইয়া দেন।

 এ দিকে মারওয়াড়িরা বিলাতী কাপড় বেচিতেছে কি না দেখিবার জন্য যুবকেরা পথের ধারে যায়। পুলিশ এই উপলক্ষে তাহাদিগের সহিত বিবাদ বাধাইয়া দাঙ্গা করে। তজ্জন্য শ্রীযুক্ত খগেন্দ্রজীবন রায়, মেঘনাথ দাস, হরকিশোর ধর, ধীরেন্দ্রচন্দ্র রায়, সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ এবং একজন মুসলমান ধৃত হন। মুসলমান যুবককে নাম জিজ্ঞাসা করিয়াই ছাড়িয়া দেওয়া হয়। অবশিষ্ট যুবকদিগের নামে দণ্ডবিধির ১৪৪, ১৪৫, ১৪৮, ১৪৯, ৩২৫, ৩২৬, ৩৫৩ ধারা অনুসারে অভিযোগ হয়, এবং বহু কষ্টে পাঁচশত টাকা করিয়া জামীন লইয়া তাঁহাদিগকে থানা হইতে ছাড়িয়া দেওয়া হয়।

 এই ঘটনা ২১শে অগ্রহায়ণ বৃহস্পতিবার ঘটে। আরও কয়েক জন ভদ্রলোক ধৃত হন। বাবু সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ নামক যে ভদ্রলোক ধৃত ও একরাত্রি হাজতে আবদ্ধ হন তিনি পাটের আফিসে কার্য্য করিতেন, ছাত্র নহেন। এতদ্ভিন্ন জজকোর্টের