পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৭৯ ]

সভাপতি মিঃ এ রসুল মহোদয়ের অভ্যর্থনার জন্য প্রত্যেক ষ্টীমার ষ্টেশনই স্থানীয় অধিবাসীগণের দ্বারা পত্রপুষ্প কদলীবৃক্ষে ও আম্র পল্লবে সজ্জিত হইয়াছিল।

স্বতন্ত্র পথে।

 খুলনার পথে এই। নারায়ণগঞ্জের পথে সুরেন্দ্রনাথের ষ্টীমারে আরও উৎসাহপূর্ণ দৃশ্য পরিলক্ষিত হইয়াছিল। ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ প্রভৃতি স্থানের প্রতিনিধিবর্গ এই জাহাজেই কোন প্রকারে স্থান করিয়া লইয়াছিলেন। “বন্দেমাতরম্” ধ্বনির সহিত “সুরেন্দ্রনাথের জয়” “সুরেন্দ্রনাথের জয়” ইত্যাদি ধ্বনি সর্ব্বত্র পরিশ্রুত হইয়াছিল। কুমারীগণ মঙ্গল শঙ্খ নিনাদিত করিয়া তাঁহার অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন। মুসলমানেরাও দলবদ্ধ হইয়া প্রায় প্রত্যেক ষ্টীমার ষ্টেশনেই সুরেন্দ্রবাবুর প্রতিনিধিবর্গের অভ্যর্থনার জন্য সাগ্রহে সমবেত হইয়াছিলেন। সুরেন্দ্রনাথকে দেখিবার জন্য সকলেরই বিশেষ ব্যগ্রতা প্রকাশ পাইয়াছিল। ইদিলপুর ষ্টেশনের দৃশ্যই অধিকতর চিত্তাকর্ষক হইয়াছিল। সেখানকার লোকেরা ৫ খানি নৌকা “বন্দে মাতরম্”, Long live our Banerjee, আমাদের বাড়ুয্যে দীর্ঘজীবী হউন ইত্যাদি শব্দাঙ্কিত পতাকা নিচয়ে সজ্জিত করিয়া ষ্টীমারের নিকট উপস্থিত হইয়াছিলেন এবং পুষ্পমাল্যে সুরেন্দ্রনাথ ও তাঁহার সহগামী প্রতিনিধিদিগকে ভূষিত করিয়াছিলেন। নৌকাগুলি স্থানীয় ভদ্র মহোদয়গণে এরূপ পরিপূর্ণ হইয়াছিল যে, নৌকায় তিল ধারণের