[ ৮০ ]
স্থান ছিল না। নৌকাস্থিত মহোদয়েরা ষ্টীমারে উঠিয়া “বন্দে মাতরম্” প্রভৃতি শব্দাঙ্কিত পতাকা দিয়া ষ্টিমারটিকে সজ্জিত করিয়াছিলেন। সুরেন্দ্রনাথের অনেক সহযাত্রী তাঁহার সম্মানের অংশ পাইয়াছিলেন।
“রাজেন্দ্র সঙ্গমে
দীন যথা যায় দূর তীর্থ দরশনে।”
তাঁহার সঙ্গে অনেকে সেইরূপ সুখে বরিশালে গমন করিয়াছিলেন। কতদূর হইতে কত প্রবীণ অশীতিপর বৃদ্ধ সুরেন্দ্র বাবুকে দেখিতে আসিয়াছিলেন ভাবিলে হৃদয় আনন্দে আপ্লুত হয়। কৃষক বালিকা হইতে অধ্যাপক ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা পর্য্যন্ত নদীর তীরে সারি দিয়া দাঁড়াইয়াছিলেন। তাঁহাদিগের সকলের নিকটেই সুরেন্দ্র বাবুর এক নিবেদন—“আপনারা স্বদেশী বস্তুর প্রচার ও ব্যবহার করুন, বিদেশী দ্রব্যের পরিবর্জ্জন করুন।”
বরিশালে পদার্পণ।
শুক্রবার রাত্রি আটটার সময় কলিকাতা, যশোহর, খুলনা, ঢাকা, রংপুর, বগুড়া, প্রভৃতি স্থানের প্রতিনিধিগণকে লইয়া ষ্টিমার বরিশালে উপস্থিত হইল। ষ্টীমার ঘাটে লাগিবামাত্র সমাগত প্রতিনিধিগণ উচ্চ কণ্ঠে “বন্দে মাতরম্” ধ্বনি করিলেন। তীরে বরিশালের মান্যগণ্য লোকেরা তাঁহাদিগের অভার্থনার জন্য