[ ৮১ ]
উপস্থিত হইয়াছিলেন। কিন্তু কেহই প্রতিনিধিগণের জয়ধ্বনির উত্তরে “বন্দে মাতরম্” বলিয়া প্রতিধ্বনি করিলেন না। তখন প্রতিনিধিগণের মধ্যেই যাঁহারা প্রধান, তাঁহারা পরামর্শ করিয়া স্থির করিলেন যে, “বন্দে মাতরম্” ধ্বনিতে বরিশালের রাজপথ প্রতিধ্বনিত করিতে হইবে। বরিশালের নেতৃবর্গ ষ্টীমারে উঠিয়া সুরেন্দ্র বাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া বলিলেন,—ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব রাজপথে “বন্দে মাতরম্” বলিতে নিষেধ করিয়াছেন এবং দলবদ্ধভাবে রাজপথ দিয়া সভাপতি রসুল সাহেবকে লইয়া যাইতেও নিষেধ করিয়াছেন। অতএব সকলে নীরবে ষ্টীমার হইতে অবতরণ করিয়া ভূকৈলাসের রাজবাটীতে চলুন। সেখানে “বন্দে মাতরম্” ধ্বনি প্রাণ ভরিয়া করা যাইবে, প্রতিনিধিগণের যথোচিত অভ্যর্থনাও সেইখানেই হইবে। অনুরোধ পালনে প্রতিনিধিবর্গের মধ্যে অনেকেই সম্মত হইলেন। কিন্তু এণ্টিসারকুলার সোসাইটীর প্রতিনিধিগণ বলিলেন “ম্যাজিষ্ট্রেটের আইন বিরুদ্ধ আদেশ আমরা মানিতে পারিব না। যদি “বন্দে মাতরম্” বলিতে দেওয়া না হয়, তবে আমরা কনফারেন্সে যোগদান করিব না।” অনেকে এণ্টীসারকুলার সোসাইটীর প্রতিনিধিগণের মতের সমর্থন করিলেন।
দ্বিতীয় জাহাজের আগমন।
এই সকল প্রতিনিধি ঘাটে প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন এমন সময়ে নারায়ণগঞ্জের জাহাজে সুরেন্দ্র বাবু প্রভৃতি বরিশালে