[ ৮৪ ]
করিলেন?” মিঃ কেম্প এ প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়া বলিলেন “ইহাঁরা প্রতিনিধি নহেন, ইঁহাদিগকে যাইতে দিব না।” কৃষ্ণবাবু বলিলেন “ইহাঁরা প্রতিনিধি, অবশ্য যাইতে দিতে হইবে।” তখন কেম্প বলিলেন “ইহাঁরা যাইতে পারেন।” অতঃপর ইহাঁদের সম্মুখ হইতে লালপাগড়ীর দল সরিয়া গেল, ইঁহারা শ্রেণীবদ্ধ হইয়া রাজবাটীতে প্রবেশ করিলেন। নেতৃবর্গের আদেশ ছিল, সে দিন পুলিশের সহিত বিবাদ করিবে না, কাজেই এণ্টিসার্কুলার সোসাইটীর প্রতিনিধিরা রক্তপাত দেখিয়াও নীরবে নিগ্রহ সহ্য করিলেন।
অতঃপর এণ্টিসার্কুলার সোসাইটীর সভ্যগণ বাটীর প্রাঙ্গণে প্রথমে “বন্দেমাতরং” এবং “যায় যাবে জীবন চলে’ সঙ্গীত গাইয়া সমবেত জনমণ্ডলীর হৃদয়ে অপূর্ব্ব উদ্দীপনার সঞ্চার করিতে লাগিলেন।
বেলা আড়াইটার সময় মিঃ রসূল সহধর্ম্মিণীসহ প্রাঙ্গণে উপনীত হইলেন এবং শকটারোহণে মণ্ডপের অভিমূখে যাত্রা করিলেন।
প্রহরী দল।
পুলিশ সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট মিঃ কেম্প সাহেব বহুসংখ্যক কৃষ্ণপরিচ্ছদ সাধারণ পুলিশ ও খাকি কোর্ত্তাধারী রিজার্ভ পুলিশ লইয়া বেলা একটার সময় রাজবাটীর দ্বারদেশে বার দিয়াছিলেন। আসিষ্টাণ্ট সুপারিণ্টেণ্ডেণ্ট একটী বালক ফিরিঙ্গী মাত্র। তিনিও