বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৮৫ ]

অশ্বপৃষ্ঠে তথায় অবস্থিতি করিতেছিলেন। বহুসংখ্যক বাঙ্গালী ইনস্পেক্টার রাস্তায় ও হাবেলীর প্রাঙ্গণে যাতায়াত করিতেছিলেন। তাহারা এণ্টিসারকুলার সোসাইটীর প্রতিনিধিদের উপর রক্তলোলুপ ব্যাঘ্রের ন্যায় সতৃষ্ণ দৃষ্টিপাত করিতেছিল। হাবেলীর নিকটে রাস্তার অপর পার্শ্বে ঢাকার নবাব সলিমোল্লার কাছারী। সেই বাটী পুলিশের কেল্লায় পরিণত হইয়াছিল। সেই বাটীতে বহুসংখ্যক পুলিশ বন্দুক লইয়া সমবেত হইয়াছিল।

 প্রতিনিধিগণ দেখিলেন, সাধারণ পুলিশ ও রিজার্ভ পুলিশ বড় লাঠি লইয়া রাজপথে অবস্থিতি করিতেছে, নবাবের কাছারীতে বন্দুকধারী পুলিশ সজ্জিত হইয়া রহিয়াছে রিজার্ভ পুলিশের সুবাদারের হাতে লাঠি ও কটিদেশে তরবারি শোভা পাইতেছে। তথাপি বরিশালের রাজপথে “বন্দে মাতরম্” বলিবার জন্য তাঁহারা যে দৃঢ় সঙ্কল্প করিয়াছিলেন, তাহা কিছুতেই বিচলিত হইল না। তাঁহারা ফুলারের বেআইনী সার্কুলার অগ্রাহ্য করিয়া রাজপথে “বন্দে মাতরং” বলিবার জন্য বহির্গত হইলেন; বাবু সুরেন্দ্রনাথ প্রভৃতি নেতৃবৃন্দও রাজপথে বহির্গত হইলেন। তাঁহাদের কিছু পশ্চাতেই এণ্টীসোসাইটীর প্রতিনিধি ছিলেন ইহাঁরা ফটক পার হইয়া রাজপথে বহির্গত হইবামাত্র একদল তাঁহাদের পশ্চাতে আসিয়া দাঁড়াইল। নিমেষ মধ্যে পূর্ব্বগামী ও অনুসরণকারী প্রতিনিধিদিগের শ্রেণী হইতে তাঁহাদিগকে পৃথক করিয়া বহু “কৃষ্ণবর্ণ কোর্ত্তা ও খাকি কোর্ত্তাধারী” পুলিশ তাঁহাদিগকে বেষ্টন করিল। মিঃ কেম্প