৬
দিন যায় । আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ে । সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শত্রুর অত্যাচার। এবার গ্রেপ্তার হলো বীণা। আবার সংঘর্ষ আবার
হাতে শোভাযাত্রার পুরোভাগে অশীতিবর্ষ বৃদ্ধা। উপেক্ষা করে এগিয়ে চলে শোভাযাত্রা ৷ গুরুম্ !
বর্ষণ করে অবিশ্রান্ত গুলি সেই নিরস্ত্র, অহিংস জনতার ওপর । সত্যাগ্রহীদের
হৃতপিণ্ড । ব্যারাকের
গুলা বিদ্ধ করে বৃদ্ধার
শত্রুর
ভ্রূক্ষেপ নেই ।
ভেতর শোভাযাত্রীরা ঢুকে
পড়েছে।
হাতিয়ার তুলে দাঁড়ালনা ।
ছত্রভঙ্গ হবার আদেশ
গুরুম্ ! ইংরেজ সৈন্য
মেজর হুকুম দের ফায়ার ! সিপাইরা
তারা এসে হাতে হাত মেলায় তাদের দেশবাসীর
সঙ্গে যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছে নিরস্ত্রভাবে ।
...
পলায়নে পটু বৃটিশ অহিংস বিপ্লবের প্রচণ্ডতায় পালিয়ে গেল গ্রাম ছেড়ে—
পালিয়ে গেল ভারত ছেড়ে। দুশো বছর রাজত্বের সময়ে তারা ভারতের
অনেক মুক্তি আন্দোলন দেখেছে—কিন্তু তারা ভ্রূক্ষেপ করেনি সে সব—
কখনো ভারত ছেড়ে চলে
যাবার কথা তারা চিন্তাও
করেনি। কিন্তু অহিংসা মন্ত্রে
উদ্বুদ্ধ বিয়াল্লিশের এই যে
নিরস্ত্র গণ-অভ্যুত্থান–এর
প্রচণ্ড গতিপথে সাম্রাজ্যবাদ
আর টিকল না,
সাম্রাজ্য
ছাড়তে তারা বাধ্য হলো ৷
ইতিহাসের এই অনিবাৰ্য্য
প রি ণ তি—ম হা ত্মা জীর
অহিংসা মন্ত্রের জয় ঘোষণা করে ।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্কটকালে বিদেশীর সঙ্গে হাত মেলাবার জন্যে এদেশে
কখনো মির্জ্জাফর উমিচাঁদের অভাব হয়নি। ঐ ছোট্ট গ্রামের মুক্তিপ্রচার পুস্তিকা