(50)
ঘটক কহিলেন। ভাল মহাশয় তাহার ঠেক কি। আপনকার পূত্রের সম্বন্ধ নিমিত্ত আমাকেও অনেকেই কহিয়াছে। আমি আপনকার অপেক্ষায় আছি। দুই তিন জাগায় কন্যা উপস্থিত আছে যেখানে বলেন সেইখানে স্থির করিয়া আসি। কুলীন গ্রামে হরহরি বসুর একটি কন্যা আছে সিটি উপযুক্তা। যেমন নাক মুখ চক্ষু তেমনি বর্ণ যেন দুদে আলতায় গোলা, আর কর্ম্মাও তেমনি। যদি বলেন তবে তাহার কাছে যাই।
তিনি বলিলেন। ভাল। তাহারি কন্যার সহিত কর্ত্তব্য বটে তুমি যাও। দিবস ধার্য্য করিয়া আইস আর কত পণ লাগিবে তাহ জানিয়া আইলে পত্রাদি করিয়া সামগ্রীর আয়োজন করা যায়।
ঘটক যাইয়া হরহরি বসুকে বলিতেছেন বসুজা মহাশয়হে তোমার কন্যার সম্বন্ধ অমুক গ্রামে গৌরহরি ঘোষের পুত্রের সহিত কর্ত্তব্য তাহারণ জাত্যাংশেও যেমন আর অন্নযোগ স্বচ্ছন্দ আছে সে ব্যক্তি নিজে বরেহাঁ চাকুরা। পুত্রতি অতি সুজন লিখিতে পড়িতে মুর্ত্তিমন্ত দৃশ্য ভব্য সভ্য অল্প বয়স এমন পাত্র আর পাবা না ইহা বুঝিয়া জবাব দেহ কিন্তু তাহারা দেরি সহিবে না এই মাসের মধ্যে কর্ম্ম করিতে হবে।
আমার এ কার্য্য অবশ্য করা বটে কিন্তু এ মাসের মধ্যে কার্য্য নির্ব্বাহ হয় না যদি অগ্রহায়নাসিতে করেন তবে আমি পারি নতুবা হয় না।
শুনহে বসুজা এমন বর আর মিলিবে না তুমি যদি কর এযন হয় তবে আমি কিছু পণ দিয়া দিতে পারি তাহা বল আমি তাহারদিগকে জানিয়া পত্র করিয়া যাই।
ভাল। যাও আন যাইয়া এই মাসের দশঞি এক দিন আছে তোমরা পরসু তাকাতি আইস।
বরকর্ত্তারা আসিয়া বসিলেন পত্রাদি লেখা পড়া হইলে হইলে কন্যাকর্ত্তাত বাগ্দান করিলেন।