পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՀ অগ্নিীমন্ত্রে দীক্ষা আশা ও ভক্তির সহিত র্তাহারা জলের দিকে দৃষ্টি করেন। কবে সেই জল পাইবেন, কেবল এই আশা করেন। শীতলতা যদি প্রধান ভাব হয়, তবে তাহা নিস্তেজ করে মনুষ্যের স্বভাবকে; শিথিল করে স্বভাবের বন্ধনকে। তেজ যদি থাকে, তাহা নিস্তেজ হয়; শক্তি শক্তিহীন হয়; বীর্য্য, উদ্যম অবসন্ন হইয়া পড়ে। জল আসিয়া সমস্ত অগ্নিকে নির্বাণ করে, ভীরুতা আসিয়া সাহসকে গ্রাস করে; সহিষ্ণুতা, ধৈর্য্য আসিয়া উদ্যম উৎসাহ বলিয়া যা কিছু উত্তেজক ভাব আছে, এক এক করিয়া সমুদয়কে নির্বাসিত করে। ধর্ম্ম ক্রিয়া পরিত্যাগ করিয়া শয্যাশায়ী হইবার উদ্যোগ করে তাহারা, যাহারা শীতলতা ভিন্ন আর কিছুই চায় না। নিক্রিয় উপাসনা ও বিশ্রামের পক্ষপাতী হইয়া শৈত্য-প্রধান জীবন ক্রমে ক্রমে অবসন্ন হইতে থাকে। দুঃখ যেদিকে, সেদিকে তাহারা যাইবে না; যেখানে শান্তি, নির্ভয়, সেইখানে গিয়া লুকাইয়া থাকিবে। এ সমুদয়ের বিপরীত দিকে যা দেখিতে পাও, তৎসমুদয় অগ্নি। এ সকলের বিপরীত ভাব অগ্নি-প্রধান জীবনে দেখিতে পাইবে। এই ব্যক্তির জীবনে, গোড়া হইতে এ পর্যন্ত, এই উৎসাহ উদ্যামের অগ্নি ক্রমাগত জ্বলিতেছে। ইহা যে সাময়িক বীরত্বের ভাবে দেখা দিতেছে, তাহা নয়। কখনও কখনও দেখা যাইতেছে, তা নয়। ধর্ম্মের অভিধানে লেখা আছে, উত্তাপের অর্থই জীবন; উত্তাপের বিপরীত মৃত্যু। শরীর যদি সম্পূর্ণরূপ শীতল হইয়া পড়ে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত করিবেন, মৃত্যু। কিছুমাত্র অগ্নি নাই, একটুও উত্তাপ নাই, দেখিলেই বলিবেন, প্রাণ-অগ্নি নিৰ্বাণ হইয়াছে। ধর্ম্ম জীবনেও উত্তাপ না থাকিলে মৃত্যু। এই জন্যই বাল্যকাল