পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালীর বীরত্ব yOd আপনা। আপনি স্বাধীন রাজা হইয়া, যুদ্ধের জন্য এবং পর্তুগীজ ও মগ-দসু্যদের আক্রমণ নিবারণ-জন্য, সৈন্য ও সামরিক পোত রাখিতেন। বাঙ্গালী পূর্বে বীরত্বশূন্য ছিল না। আমরা এ স্থলে এই বীর্য্যশালী বাঙ্গালী ভূস্বামীদিগের আরও দুই এক জনের নাম করিব। বর্ত্তমান নারায়ণগঞ্জের প্রায় এক মাইল উত্তরবস্ত্রী খিজিরপুরের ঈশা খাঁর বীরত্বের বিবরণ আজ BBD DDD DBB GBBDD DBDBDBBB DDBDBB BBD DDD S ঈশা খাঁ এই নাম শুনিয়াই অনেকে মনে করিতে পারেন, এ ব্যক্তি পাঠান ছিল, সুতরাং, ইহার কথা তুলিয়া বাঙ্গালীর বীরত্বের গৌরব করা অসঙ্গত। কিন্তু আমরা তাহাদিগকে বলিতেছি, ঈশা খাঁর পিতা হিন্দু ছিলেন। তাহার নাম কালিদাস॥ হুসেন শাহের রাজত্বকালে ( খ্রীঃ আব্দ। ১৪৯২-১৫২০ ) কালিদাস মুসলমান-ধর্ম্ম পরিগ্রহ করেন। সুতরাং ঈশা খাঁ পাঠান নহেন, মুসলমানধর্ম্মাবলম্বী হিন্দুর সন্তান। বিশেষ বাঙ্গালী ভূস্বামী। ঈশা খাঁ সুবর্ণগ্রামে আধিপত্য করিতেন, সমস্ত পূর্ব্ববাঙ্গালা তাহার অধীন ছিল। তিনি আসামের অন্তৰ্গত রাঙ্গামাটিতে, বর্ত্তমান নারায়ণগঞ্জের অপর পারস্থ ত্রিবেণীতে, এবং যে স্থানে লক্ষ নদী ব্রহ্মপুত্র হইতে বাহির হইয়াছে, সেই স্থানের নিকটবর্ত্তী এগারসিন্ধুতে দুৰ্গ নির্ম্মাণ করেন। ১৫৮৩ খ্রীঃ অব্দে রালফ ফিচ নামে একজন ভ্রমণকারী সুবর্ণগ্রামে উপস্থিত হন। তিনি লিখিয়াছেন, “এই সমস্ত দেশের প্রধান রাজার নাম ঈশা খাঁ। তিনি অন্যান্য অধিপতিদিগের মধ্যে প্রধান, এবং খ্রীষ্টানদিগের পরম বন্ধু।” ১৫৮৫ খ্রীঃ অব্দে দিল্লীশ্বরের সেনানী শাহাবাজ খাঁ অনেক সৈন্যসামস্তের সহিত পূর্ববঙ্গালায় প্রবেশ করেন, কিন্তু