পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दक्रिाह्रौंद्र दीद्रङ्ग SO যথার্থই রাজা মানসিংহ। সুতরাং যুদ্ধ আরম্ভ হইল। প্রথম - আক্রমণেই মানসিংহের তরবারি ভগ্ন হইয়া গেল। ঈশা খাঁ আপনার তরবারি রাজাকে দিলেন, কিন্তু রাজা তাহা গ্রহণ না করিয়া অশ্ব হইতে নামিলেন। তাহার প্রতিপক্ষ ঈশা খাও অশ্ব হইতে অবরোহণ করিয়া, নিরস্ত্র রাজার সহিত মল্ল-যুদ্ধে উদ্যত হইলেন। মানসিংহ আর যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন না। প্রতিদ্বন্দীর উদারতা, সাহস ও বীরত্বে সন্তুষ্ট হইয়া, তাহাকে বন্ধু বলিয়া আলিঙ্গন করিলেন। ক্ষত্রিয়-ধর্ম্মের অবমাননা করিলেন না, ঈশা খাকে আপ্যায়িত করিয়া, উপহার দিয়া বিদায় দিলেন। ঈশা খাঁ ইহার পর রাজা মানসিংহের সহিত আগরাতে সম্রাটু আকৃবরের নিকট উপনীত হইলেন। কিন্তু তাহাকে এই স্থানে কারাগারে অবরুদ্ধ করা হইল। শেষে সম্রাট যখন এগারসিন্ধুর দ্বন্দ্বযুদ্ধের বিবরণ শুনিলেন, তখন কালবিলম্ব না করিয়া ঈশা খাকে কারাগার হইতে মুক্ত করিলেন এবং তঁহাকে “দেওয়ান” ও “মসনদইআলি” উপাধি ও বাঙ্গালার অনেক পরগণা দিলেন। ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগে একজন বাঙ্গালীর এইরূপ বীরত্ব ও সাহসের বিবরণ পাওয়া যায়। এক্ষণে ঈশা খাঁর বংশধরেরা পূর্ববাঙ্গালার সম্রান্ত জমীদার বলিয়া গণ্য। কিন্তু তাহদের বংশের সে সাহস, সে বীর্য্য এক্ষণে অতীত কালের সহিত মিশিয়া 何可忆更1 ঈশা খাকে ছাড়িয়া দিলেও বলশালী খাটি হিন্দু বাঙ্গালীর অভাব হইবে না। স্বাধীন ত্রিপুরার অধিপতিগণ অনেক সময়ে যুদ্ধে অসাধারণ সাহস দেখাইয়া বীরত্ব-কীর্ত্তির সন্মান রক্ষা করিয়াছেন। আজ পর্য্যন্ত ইহাদের স্বাধীনতা অক্ষত রহিয়াছে।