পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের সুখদুঃখ »68) করিয়াছেন। এখন বোধ হয়, বাঙ্গালী যথার্থ নিরপেক্ষভাবে সিরাজ-চরিত্র আলোচনা করিবার অবসর পাইবেন। সিরাজদ্দৌলা নাই। তঁহার সময়ে যে বাঙ্গালা দেশ ছিল, সে বাঙ্গালা দেশও নাই। মোগল বাদশাহেরা + “সমুদয় মানব জাতির স্বৰ্গতুল্য বঙ্গভূমি” বলিয়া অনুশাসনপত্রে যাহার উল্লেখ করিতেন, সে স্বৰ্গ এখন গৌরবচ্যুত হৃত-সর্বস্ব কাঙ্গাল-ভূমি। সে শিল্প নাই, সে বাণিজ্য নাই, বাঙ্গালীর সে রাজপদ, মন্ত্রিপদ জমীদারদিগের সে জীবন-মরণের বিচারক্ষমতা নাই;-সে বাহুবল, সে রণকৌশল, সকলই এখন ইতিহাসগত অতীত কাহিনীতে পর্য্যবসিত হইয়াছে। সিরাজদ্দৌলা যে সময়ের লোক, সে সময় এখন বহুদূরে সরিয়া পড়িয়াছে। এক সময়ে এ দেশে মুসলমানের নামগন্ধ ছিল না। হিন্দুস্থান কেবল হিন্দু অধিবাসীর শঙ্খ-ঘণ্টারবে প্রতিশদিত হইত। কিন্তু সে বহুদিনের কথা। সেকালের সকল চিত্রই এত পুরাতন, এত জরাজীর্ণ, এত অস্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে যে, এখন আর ভাল করিয়া তাহার সৌন্দর্য্য বিচার করিবার উপায় নাই। বহুদিন হইতে এ দেশ হিন্দু-মুসলমানের জন্মভূমি বলিয়া পরিচিত হইয়াছে; গ্রামে গ্রামে, নগরে নগরে, বহুদিন হইতে হিন্দু-মুসলমান বাহুতে বাহুতে মিলিত হইয়া জীবন-সংগ্রামে জন্মভূমির রণপতাকা বহন করিতেছে। সিরাজদ্দৌলার সময়ে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ধর্ম্মগত পার্থক্য ছিল; কিন্তু ক্ষমতাগত, পদগৌরবগত কোনই পার্থক্য ছিল না। মুসলমানের শিষ্টাচার, মুসলমানের প্রয়োজনাতীতসৌজত-পরিপ্লাত, শ্লখ-বিন্যস্ত, শ্রুতিনুমধুর, সুমার্জিত যাৰনিক

  • Akbar and Aurangzeb.