পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গসাহিত্যে বিজ্ঞান ܦ নৈঋত কোণে বায়ন্স কী কী রব করিলে সে দিন কি প্রকার যাইবে ইত্যাদি বিষয় নির্ণয় পূর্বক কাকচরিত্র রচনা করিতেছিলেন, যে সময় এদেশের অধ্যাপকবৃন্দ “তাল, পড়িয়া ঢিপ করে, কি টিপ করিয়া পড়ে” ইত্যাকার তর্কের মীমাংসায় সভাস্থলে ভীতি উৎপাদনা করিয়া সমবেত জনগণের অন্তরে শান্তি-ভঙ্গের আয়োজন করিতেছিলেন, সেই সময়ে ইয়োরোপখণ্ডে গ্যালিলিও, কেপ্লার, নিউটন প্রভৃতি মনস্বিগণ উদীয়মান হইয়া প্রকৃতির নূতন নূতন তত্ত্ব উদঘাটন পূর্বক জ্ঞানজগতে যুগান্তর উপস্থিত করিতেছিলেন ও মানব-জীবনের সার্থকতা সম্পাদন করিতেছিলেন। তাই বলি, আজ সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া হিন্দুজাতি নিম্পন্দ ও অসাড় হইয়া পড়িয়া রহিয়াছে। যাহা হউক বিধাতার কৃপায় হাওয়া ফিরিয়াছে; মরা গাঙে সত্য সত্যই বান ডাকিয়াছে; আজি বাঙ্গালী জাতি ও সমগ্র ভারত নূতন উৎসাহে, নূতন উদ্দীপনায় অনুপ্রাণিত। যে দিন রাজা রামমোহন রায় বাঙ্গালীর ঘরে জন্মগ্রহণ করিয়া প্রাচ্য ও প্রতীচ্য সম্মিলনই ভবিষ্য ভারতের সমৃদ্ধিসোপান বলিয়া নির্দেশ করিলেন, সেই দিনই বুঝি বিধাতা ভারতের প্রতি পুনরায় শুভ দৃষ্টিপাত করিলেন। জগতের ইতিহাস পর্য্যালোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায়, যে সকল জাতি পুরাতন আচার, ব্যবহার, জ্ঞান ও শিক্ষা বিষয়ে নিতান্তই গোড়া, যাহারা প্রাচীন শিক্ষার ও প্রাচীন প্রথার নামে আত্মহারা হন, র্যাহারা বর্তমান জগতের জীবন্তভােব জাতীয় জীবনে সংবেশিত করা হঠকারিতা বলিয়া মনে করেন, তাহারা বর্ত্তমান কালের ইতিহাসে নগণ্য ও মৃতপ্রায়; এমন কি এই সমস্ত জাতি নূতনের প্রৰল সংঘর্ষণে লুপ্ত হইবার উপক্রম হইয়াছে। এ বিষয়ে