পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষমার আদশ ov ধীরে ধীরে ঋষির মুখ জ্যোতিপূর্ণ হইয়া উঠিল, ধীরে ধীরে সাগরোপিম হৃদয় হইতে এই কয়টা বাক্য নিঃস্থত হইল,-“দেবি, আমি তাহাকে যে ভালবাসি।” অরুন্ধতীর বিস্ময় আরও বদ্ধিত। হইল, তিনি বলিলেন, “আপনি যদি তাহাকে ভালবাসেন ত তাহাকে ‘ব্রহ্মর্ষি বলিয়া সম্বোধন করিলেই তা জঞ্জাল মিটিয়া যাইত, আমাকেও শত পুত্র হইতে বঞ্চিত হইতে হইত না।” ঋষির মুখ অপূর্ব্ব শ্রী ধারণ করিল, তিনি বলিলেন, “তাহাকে ভালবাসি বলিয়াই ত তাহাকে ব্রহ্মর্ষি বলি নাই, আমি তাহাকে ব্রহ্মর্ষি বলি নাই বলিয়াই তাহার ব্রহ্মর্ষি হইবার আশা আছে।” আজ বিশ্বামিত্র ক্রোধে জ্ঞানশূন্য। আজ আর তাহার তপস্তায় মনোনিবেশ হইতেছে না। তিনি সঙ্কল্প করিয়াছেন আজ যদি বশিষ্ঠ তাহাকে ব্রহ্মর্ষি না বলেন তাহা হইলে তাহার। প্রাণসংহার করিবেন। সঙ্কল্প কার্য্যে পরিণত করিবার জন্য তিনি তরবারি হস্তে কুটির হইতে বহির্গত হইলেন। ধীরে ধীরে বশিষ্ঠদেবের কুটির-পাশ্বে আসিয়া দাড়াইলেন। দাড়াইয়া দাড়াইয়া বশিষ্ঠদেবের সমস্ত কথা শুনিলেন। মুষ্টিবদ্ধ তরবারি হস্তে শিথিল হইয়া পড়িল। ভাবিলেন, “কি করিয়াছি, না জানিয়া কি অন্যায় কার্য্য করিয়াছি, না জানিয়া কাহার নির্বিকার চিত্তে ব্যথা দিতে চেষ্টা করিয়াছি।” হৃদয়ে শত বৃশ্চিক-দংশন-যন্ত্রণা অনুভূত হইল। অনুতাপে হৃদয় দগ্ধ হইতে লাগিল। দৌড়িয়া গিয়া বশিষ্ঠের পদপ্রান্তে পতিত হইলেন। কিছুক্ষণ বাক্যস্ফীর্ত্তি হইল না, ক্ষণপরে বলিলেন,-“ক্ষমা করুন, কিন্তু আমি ক্ষমা ভিক্ষারও অযোগ্য।” গর্ব্বিত হৃদয় অন্য কিছু বলিতে পারিল না। কিন্তু বশিষ্ঠ কি করিলেন? বশিষ্ঠ দুই হাত দিয়া তাহাকে ধরিয়া বলিলেন, “উঠ,