Yby স্বপ্ন-দর্শন,-স্যায়-বিষয়ক পরিচিত গ্রন্থ-পাঠ-দ্বারা বিদ্যাবিষয়ে পারদর্শী হইয়াছে, তাহাদিগকে তৎপরে স্থাপিত করিলেন। যাহাদিগের অনেকানেক গ্রন্থ পাঠ হইয়াছে, কিন্তু তাদৃশ বিচারশক্তি নাই, তাহারা সৰ্বশেষে থাকিল। এইরূপে আধুনিক যুগের প্রত্যেক বিদ্যাবান ব্যক্তি ইহার কোন না কোন স্থানে নিবিষ্ট হইলেন, ফলতঃ কি বিপর্য্যয়ই দেখিলাম। যাহাদের বিদ্যাবিষয়ে বিলক্ষণ খ্যাতি আছে, তন্মধ্যেও অনেকানেক ব্যক্তি অধম স্থানে সংস্থাপিত হইলেন। এ কতকগুলি বাঙ্গালা-গ্রন্থকীর্ত্তা এই ‘’ শ্রেণী-ভুক্ত হইয়া দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন; কিন্তু আক্ষেপের কথা কি কহিব, ধর্ম্মপুরুষ তাহাদিগকে নিতান্ত অনধিকারী বিবেচনা করিয়া, তথা হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিলেন। সে শ্রেণীতে কোন স্থানে তঁহাদের স্থান হইল না। তাহদের এই দারুণ দুরবস্থা দৰ্শন করিয়া, আমার অন্তঃকরণ দুঃসহ দুঃখ-তাপে তাপিত হইতে লাগিল। ভাবিলাম, এই সকল অবোধ মনুষ্য যে বিষয়ে যশঃ-সৌরভ। লাভের বাসনা করে, অধিকারী না হইয়া, তাহাতে কেন প্রবৃত্ত হয়? তবে প্রবোধের বিষয় এই যে, তিনি তাহাদিগকে শ্রেণী-বহির্ভূত করিয়া কহিলেন,-“তোমরা প্রতিপত্তিলাভ ও স্বদেশোপিকারের উৎকৃষ্ট পথ অবলম্বন করিয়াছ। স্বদেশীয় ভাষার অনুশীলন ব্যতিরেকে কখন কোন দেশে জ্ঞানের প্রচার ও প্রাদুর্ভাব হইতে পারে না। তোমরা কিছুকাল পঠদ্দশায় থাক, পরে মনোরথ পূর্ণ হইলেও হইতে পারে। তোমরা যে সকল প্রস্তাব লিখিয়া থাক, তাহার পূর্বাপর ঐক্য থাকে না, ভাষের প্রগাঢ়তা থাকে না এবং রচনাও পরিপাটি-শুদ্ধ হয় না, বিশেষতঃ যিনি যে বিষয় রচনা করেন, তিনি তাহ নিয়মিতরূপে শিক্ষা ও