পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৩৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষমণ ও ইন্দ্রজিৎ সভায় কাৰ্বরপতি, সহসা পড়িল কনক-মুকুট খসি, রথচুড়া যথা রিপুরখী কাটি যবে পাড়ে রন্থতলে। সশঙ্ক লঙ্কের শূর স্মরিলা শঙ্করে। প্রমীলার ব্যামেতির নয়ন নাচিল। আত্মবিস্মৃতিতে, হায়, অকস্মাৎ সতী মুছিলা সিন্দুর-বিন্দু সুন্দর ললাটে! মূৰ্ছিল রাক্ষসেন্দ্রাণী মন্দোদরী দেবী আচম্বিতে; মাতৃকোলে নিদ্রায় কান্দিল শিশুকুল আর্ত্তনাদে, কঁাদিল যেমতি ব্রজে ব্রজকুলশিশু, যাবে শু্যামমণি, ধারি সে ব্রজপুর, গেলা মধুপুরে! অন্যায়-সমরে পড়ি, অসুরারি-রিপু, রাক্ষস-কুল-ভরসা, পরুিষ-বচনে কহিলা লক্ষ্মণ শূরে,-“বীর-কুলগ্রানি, সুমিত্রানন্দন, তুই! শত ধিক তোরে। রাবণানন্দন আমি, না ডারি শমনে! কিন্তু তোর অস্ত্রাঘাতে মরিনু যে আজি পামির, এ চির দুঃখ রহিল রে মনে! দৈত্যকুলদল ইন্দ্রে দমিনু সংগ্রামে রিতে কি তোর হাতে? কি পাপে বিধাতা দিলেন এ তাপ দাসে, বুঝিব কেমনে? আর কি কহিব তোরে? এ বারতা যাবে। পাইবেন রক্ষোন্নাথ, কে রক্ষিবে তোরে,