প্রমীলার চিন্তারোহণ বেগবতী স্রোতস্বতী পর্বতকন্দিরে!! কঁাপিল কৈলাসগিরি থর থর থরে। কঁাপিল আতঙ্কে বিশ্ব; সািভয়ে অভয়া কৃতাঞ্জলিপুটে সাধবী কহিলা মহেশে - “কি হেতু সরোষ, প্রভু, কহ তা দাসীরে?- মরিল সমরে রক্ষঃ বিধির বিধানে; নহে দোষী রঘুরখী! তবে যদি নাশ। অবিচারে তারে, নাথ, কর ভস্ম আগে আমায়।” চরণযুগ ধরিলা জননী। “বিন্দরে হৃদয় মম, নগরাজবালে, রক্ষোদুঃখে। জান তুমি কত ভালবাসি নৈকষেয় শূরে। আমি! তব অনুরোধে, ক্ষমিব, হে ক্ষেমঙ্করি, শ্রীীরাম-লক্ষ্মণে।” আদেশিলা অগ্নিদেবে বিষাদে ত্রিশূলী - “পবিত্রি, হে সর্ব্বশুচি, তোমার পরশে। আন শীঘ্র এ সুধামে রাক্ষস-দম্পতী।” ইরম্মদ রূপে অগ্নি ধাইলা ভূতলে! সহসা জ্বলিল চিতা। সচকিতে সবে দেখিলা আগ্নেয় রথ; সুবর্ণ-আসনে সে রথে আসীন বীর বাসববিজয়ী দিব্যমূর্ত্তি | বামভাগে প্রমীলা রূপসী, অনন্ত যৌবনকান্তি শোভে তােদশে চিরসুখহাসিরাশি মথুরা-অধরে। 83 St