সেকাল আর একাল Գ Տ)։ যুদ্ধে জয়ী হইয়া ফিরিয়া আসিবার সময় বৃন্দাবন, মথুরা প্রভৃতি স্থানের প্রধান প্রধান দেবালয়ে দান করিয়া আসিয়াছিলেন। সেকালের সাহেবের আমলাদের উপর এমন সদয় ছিলেন যে, শুনা গিয়াছে, তাহারা তাহদের দেওয়ানদের বাটীতে গিয়া তাহাদের ছেলেদিগকে হঁঠুর উপর বসাইয়া আদর করিতেন ও চন্দ্রপুলি খাইতেন। র্তাহারা অন্যান্য আমলাদের বাসায়ও যাইয়া, কে কেমন আছে, জিজ্ঞাসা করিতেন। এখন সে কাল গিয়াছে। এখনকার সাহেবদিগকে দেখিলে, তাহাদিগকে সেই সকল সাহেবদের হইতে এক স্বতন্ত্র জাতি বলিয়া বোধ হয়। ইহাদের আর এদেশীয়দের সহিত সেরূপ ব্যথার ব্যথিত্ব নাই, তাহদের প্রতি তাহাদিগের সেরূপ স্নেহ নাই, সেরূপ। মমতা নাই। অবশ্য অনেক সদাশয় ইংরাজ আছেন, যাহারা এই কথার ব্যভিচারস্থল স্বরূপ। কিন্তু আমি যেরূপ বর্ণনা করিলাম, এরূপ সাহেবই। অধিক। পূর্বে যে সকল ইংরাজ মহাপুরুষেরা এখানে আসিয়া, এদেশের যথেষ্ট উন্নতি করিয়া গিয়াছেন, তাহদের নাম এদেশীয়দের হৃদয়ে অঙ্কিত রহিয়াছে। কোন উদ্ভট কবিতাকার হিন্দুদিগের প্রাতঃস্মরণীয় স্ত্রীলোকদিগের নাম যে শ্লোকে উল্লিখিত আছে, তাহার পরিবর্তে সে কালের কতিপয় ইংরাজ মহাত্মার নাম উল্লেখ করিয়া একটি শ্লোক প্রস্তুত করিয়াছিলেন। আদর্শ ও নকল দুইটি শ্লোকই নিয়ে লিখিত হইল। আদর্শ অহল্যা দ্রৌপদী কুন্তী তারা মন্দোদরী তথা। পঞ্চকন্যাঃ স্মরেন্নিত্যং মহাপাতকনাশনম ৷ •