পাতা:Reminiscences Speeches And Writings Of Sir Gooroo Dass Banerjee Reminiscences pt. 1.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন স্মৃতি। ክ” ዓ ইংরাজী জানেন এবং প্রেসিডেণ্ট পদে তঁাহার পূর্ণমাত্রায় অধিকার। লালবিহারীর মনোভাব বঙ্কিম বুঝিতেন। সার গুরুদাস বঙ্কিমকে সভাপতি করিবার প্রস্তাব করিলে, বঙ্কিম তাহাকে বলেন “ক’রলেন কি?” ইহার পরে লালবিহারী ক্লাবে আসা বন্ধ করিলে উহা উঠিয়া যায়। অল্পদিন পরে লালবিহারী হুগলী কলেজে বদলি হন। বঙ্কিমের অবস্থানকালে রায় দীনবন্ধু মিত্র বাহাদুর ডাকঘরের কার্য্যোপলক্ষে মাঝে মাঝে বহরমপুরে আসিতেন। দীনবন্ধু আসিলে হাস্তের বন্যা আসিত। বিদ্যাসাগর মহাশয় সম্বন্ধে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম 2țea Sejfi VSK fa rl-f5fr kfèt Sa “Hoe is only a Primermaker” (তিনি খানকতক ছেলেদের বই লিখেছেন বই ত’ নয় )। কাশীধাম ও নারিকেলডাঙ্গা হইতে বহরমপুরে প্রত্যাবর্ত্তন করিলে, সার গুরুদাসের জননী তাহাকে পুনরায় কলিকাতায় ফিরিবার জন্য অনুক্ষণ অনুরোধ করিতেন। এই সনির্বন্ধ আদেশ অবহেলা করা ক্রমে অসম্ভব হইয়া উঠিল। বহরমপুরের ধ্রুব আয় ত্যাগ করিয়া হাইকোর্টের অনিশ্চিত উপায়ের জন্য কতকাল বসিয়া থাকিতে হইবে, এ সম্বন্ধে মনোমধ্যে অনেক দিন আলোড়ন চলিয়াছিল। মতি বাবুকে জিজ্ঞাসা করাতে তিনি বলিলেন-যদি ফি টোপে মাছ গাঁথতে চান ত? বহরমপুরে থাকুন, আর অনেকক্ষণ গালে হাত দিয়ে ব’সে থেকে যদি প্রকাণ্ড রুই কাতলা তুলতে চান ত’ হাইকোর্টে যান। বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অদৃষ্ট ছিল যে, হাইকোর্টের প্রকাণ্ড রুই ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মস্ত কাতলা তাহার ছিপে উঠিবে। তাই তঁাহার নিজের অনিচ্ছাসত্ত্বেও, পুণ্যবতী মাতৃদেবীর আদেশ তাহাকে সৌভাগ্য-অধিরোহিণীর প্রথম সোপানে আনিয়া উপস্থিত করিল। ১৮৭২ সালের শেষভাগে তিনি তঁহার অত্যধিক প্রিয় বহরমপুর অশ্রুপুর্ণনেত্রে ত্যাগ করিলেন।