SO डि कथां। পড়িতে পড়িতে ঘুমের ঘোরে দুলিলে, তাহারা বলিতেন, ‘চােখে জল দে, ঘুম ছেড়ে যাবে।” আস্তে আস্তে পড়িলে বলিতেন, “ডেকে পড়, তা না হলে পড়ার প্রণালী দুরন্ত হবে কেন?” আজকালকার বাপ-মার শাসনে কিন্তু, যত সব ‘আদুরে” ছেলে গঠিত হইতেছে। পূর্বে বাপ-মা বুঝিতেন যে, নিজের ছেলে।পুলেকে সবাই ভালবাসে, আদর করে; কিন্তু ছেলেপিলেকে এমনভাবে তৈয়ারি করিতে হইবে, যাহাতে দেশের সবাই তাহদের ভালবাসে। আজকাল পিতামাতা অতিরিক্ত আদর দিয়া ছেলেপিলের মাথা একেবারে খাইয়া f(\O(ge পূর্বে গুরু ও শিষ্যের মধ্যে ভক্তি ও মেহের বন্ধন ছিল। আজ-কাল ছাত্রেরও গুরুর প্রতি ভক্তি নাই, আর তেমন গুরুই বা কোথায়? আজকালকার শিক্ষক ও অধ্যাপকের কেবল মুখস্থ বুলি আওড়াইয়া মনে করেন, ছাত্রদের প্রতি র্তাহাদের কর্ত্তব্য সম্পন্ন হইল। Education মানে কি? মানুষের সৎ-বৃত্তিনিচয়, সম্যক বিকাশ লাভ করা-যাহার যাহা নাই, তাহাকে তাহা দেওয়াই যে শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য, তাহারা তাহা বোঝেন না। বেশ মনে আছে, আমাদের সময় Cowell সাহেব পড়াইতেন। মধ্যে মধ্যে পড়াইতে পড়াইতে তিনি এত তন্ময় হইয়া যাইতেন যে, তাহার বাহ্যজ্ঞান লোপ পাইত। ঘণ্টা বাজিয়া গিয়াছে।—অন্য প্রফেসর আসিয়া পাশে দাড়াইয়া রহিয়াছে, তবুও তঁহার হুস নাই। যেদিন তঁহার তিনটা হইতে চারটা পর্য্যন্ত ক্লাস থাকিত, সে দিন আমরা ঠিক করিয়া রাখিতাম, সাড়ে চারটা ত বাজিবেই, পাঁচটাও হইতে পারে। সাহেবের মেম একদিন সাহেবকে লইয়া বেড়াইতে যাইবার জন্য গাড়ী লইয়া হাজির; তিনি সহিসকে দিয়া সাহেবের নিকট “সুিপ’ লিখিয়া পাঠাইলেন। সহিস