পাতা:Reminiscences Speeches And Writings Of Sir Gooroo Dass Banerjee Reminiscences pt. 1.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতি কথা। NdQ টেবিলের উপর কাগজের টুকরাখানি রাখিল। সাহেবের সেদিকে ভ্রক্ষেপই নাই। তিনি পড়াইয়াই যাইতেছেন। পরে যখন সহিস আবার আসিয়া তাহার সম্মুখে দাড়াইত, তখন তিনি হাত নাড়িয়া ইঙ্গিত করিতেন—একটু অপেক্ষা করিতে বলিতেন। তাও কথা বলিবার ফুরসুত ছিল না। এমন গুরুও আজি-কাল নাই, আর তেমন ভক্ত শিষ্যও নাই। অধিকন্তু, ছাত্রগণও পরীক্ষায় যাহা দরকার, তাহা ভিন্ন আর বেশী কিছুই শিখিতে চায় না। আজ-কাল ছেলেদের মধ্যে সংযমের বড়ই অভাব দেখা যায়। চন্দ্রনাথবাবুর “সংযম-শিক্ষা” বইখানি পাঠ্য পুস্তকরূপে নিৰ্দ্ধারিত হইলেও, কয়জন ছাত্র তাহা পড়িয়া থাকে? সংযম বলিতে কেবল যে ইন্দ্রিয়-দমন, তাহা ত নহে; আহারে, বিহারে, কথা-বার্ত্তায় সব বিষয়েই সংযত হওয়া দরকার। এই যে আজ-কাল ৪৫ মিনিটে ( ৫০? ) স্কুল কলেজে ঘণ্টা হইতেছে, তাহার কি ফল হইবে, তাহা কি আমরা ভাবিয়াছি? ৪৫ মিনিটের মধ্যে ১৫ মিনিট ত নাম ডাকিতেই যায়; থাকে। আধ-ঘণ্টা মাত্র। এই আধ-ঘণ্টার মধ্যে কতটুকু সময় পড়া হইতে পারে, তুহো ভুক্তভোগীরা বিশেষরূপেই জানেন, আমি আর কি বলিব? পড়ার কথা ছাড়িয়া দিলেও, এর আর একটা দিক আছে। সেটা এই যে, এই নিয়মের কুফলে ছাত্রগণ সংযম হারাইতে *fistice Experimental psychology, trist পরীক্ষার দ্বারা এই নিয়ম প্রচলিত হইয়াছে, সে বিজ্ঞানশাস্ত্র যে খারাপ, তাহা আমি বলিতে চাহি না; কিন্তু তদনুযায়ী সব কাজ করিতে গেলে, ব্যবহারিক ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ কষ্ট ভোগ করিতে হইবে। এই শাস্ত্রে বলে, একবারে ৪৫ মিনিটের বেশী ছাত্রদের পাঠে মনোযোগ থাকে না। এক 'ত প্রথম, তঁাহারা ঠাণ্ড দেশে, জনকতক ছাত্র লইয়া পরীক্ষা