স্মৃতি কথা। ଅରର মনে তঁাহার প্রতি কিরূপ শ্রদ্ধার ভাব জাগিয়া উঠিয়াছিল। তাহাতে সার গুরুদাসের অসাধারণ মাতৃ-ভক্তির কথা বিশিষ্টভাবে উল্লিখিত ਣਭੋਫ | কিছুদিন পরে আমাদের একজন সহপাঠী আমাদের বিদ্যালয় পরিত্যাগ করিয়া নারিকেলডাঙ্গা স্কুলে প্রবিষ্ট হন। সেই সহপাঠীর সহিত আমাদের ঘনিষ্ঠতা কিছু বেশী ছিল এবং এখন উত্তরোত্তর বদ্ধিত হইতেছে। বাল্যকালে তঁহার পাঠে তেমন মনোযোগ ছিল না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হইতে পরিবেন। কিনা, এরূপ ‘আশঙ্কাও মধ্যে মধ্যে আমাদের মনে উদিত হইত। • নারিকেলডাঙ্গা স্কুলে ভর্ত্তি হইবার পরেও তিনি সুবিধা পাইলেই আমাদের সহিত দেখা করিতেন। পড়ার কথা জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলিলেন যে প্রতি রবিবারে, বিদ্যালয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, গুরুদাস বাবুর আলয়ে তাহাদিগকে যাইতে হয়, তিনি স্বয়ং তঁহাদিগকে গণিত শিক্ষা দেন। তখনও গুরুদাস বাবু হাইকোর্টের বিচারপতি। নানাবিধ অনুষ্ঠান সভা সমিতিতে তঁহাকে যোগদান করিতে হয়। সপ্তাহের মধ্যে একদিন—রবিবার-দ্বিপ্রহরে—তঁাহার একটু অবসর। সেই বিরলপ্রাপ্ত অবসরের কয়েক ঘণ্টা। তিনি নারিকেলডাঙ্গা স্কুলের প্রথম শ্রেণীর তিনটি ছাত্রের জন্য ব্যয় করিতে প্রস্তুত। অনেকেই ত শিক্ষাবিস্তারের জন্য লম্বা চওড়া বক্ততা করেন, কিন্তু বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য এরূপ আন্তরিক চেষ্টা কেহ দেখিয়াছেন কি? সেই প্রথমবার নারিকেলডাঙ্গা স্কুল হইতে তিন জন ছাত্রের মধ্যে দুইজন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলেন। কর্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া সার গুরুদাসের তৃতীয় পুত্র পরম শ্রদ্ধাস্পদ শ্রীযুক্ত উপেন্দ্রচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের সহিত ঘনিষ্ঠ পরিচয়: