জননী সোণামণি দেবী। N প্রকাশ পাইতে লাগিল॥-সে। কি অশান্তি! এইরূপে কএকদিন - কাটিয়া গেলে, একদিন পুত্রকে বলিলেন-“খালাধারে যেখান হইতে আমাদের কাঠ আসে, স্কুল থেকে আসিবার সময় সেইখানে লোকটির সন্ধান লইও, পাইলে তাহাকে ডাকিয়া আনিবে, তাহাকে লেবু না দিয়া আমি স্থির হইতে পারিতেছি না।” মাতৃদেবীর এইরূপ আত্মগ্রানি, ইত্যায়নিষ্ঠা ও কর্ত্তব্যজ্ঞানের সুবিমল প্রভাব নে গুরুদাসের বাল্যজীবন গঠনের পরিপোষাক-ঐ মায়ের সুবুদ্ধিপ্রসূত বিবিধ উপকরণ যে জীবনগঠনের উপাদােনরূপে নিয়োজিত হইয়াছিল-সে জীবনের পরবর্তী অভিনয় যে সমগ্র জনসমাজকে মুগ্ধ করিবে, সে বিষয়ে কি আর সন্দেহ আছে? স্যর গুরুদাসকে ঠেকিয়া শিখিতে হয় নাই। মাতৃমেহের বেষ্টনীর মধ্যে থাকিয়া মাতৃজীবনের ক্রিয়াকলাপ, আচার- ব্যবহার, সৌজন্য ও শীলতাই তাঙ্গার বেদ-বাইবেল-কোেরাণে পরিণত হইয়াছিল, -তিনি মাতাকে দেখিতে দেখিতে নিজে গড়িয়া উঠিয়াছিলেন। ( ২) (২) পিতৃদেব রচিত “জ্ঞান ও কর্ম্ম৷” পুস্তকের निहन উদ্ধত কয়েক ছত্র পাঠ করিলে বাল্য জীবনের এই ঘটনার প্রভাব উপলব্ধি করিতে পারা যায়। “পুত্র কন্যার নীতি-শিক্ষার নিমিত্ত পিতামাতার প্রথম কীর্ত্তব্য এই যে তঁহার এমন ভাবে জীবন যাপন করিবেন যে তঁহাদের দৃষ্টান্তই নীতি শিক্ষণদিবে। তাহা না হইলে তাঙ্গাদের বা অপর শিক্ষকের মুখের উপদেশ বিশেষ কার্য্যকর হয় না। অনেক স্থলে নানা কারণে পরিণামে পুত্রকন্যা পিতামাতা অপেক্ষা ভাল হয় বা মন্দ হয়। কিন্তু প্রায়ই প্রথমে তাহারা পিতা মাতার রীতিনীতি অনুসারে চলিতে শিখে, আর সেই রীতিনীতি উচ্চাদর্শের হইলে তাহদের সুনীতি শিক্ষা