>d SR জননী সোণামণি দেবী। আদেশমত ডাক্তার ঘোষের বাটীতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে আসিয়া সন্ধ্যা অতিক্রান্ত হইয়া যায়;-পুত্রের অত্যধিক বিলম্ব দেখিয়া জননী অস্থির হইয়া পড়িলেন। প্রত্যেক পদশব্দে গুরুদাসের বাটী প্রত্যাবর্ত্তন-কল্পনা করিয়া, পরে নিরাশ হইয়া উৎকণ্ঠার মাত্রা বৃদ্ধি করিয়া, যৎপরোনাস্তি ক্লেশ অনুভব করিতেছেন। —রাত্রি আটটার পর গুরুদাস গৃতে আসিবামাত্র মাতা পুত্রকে বিলম্বের জন্য তিরস্কার করিতে লাগিলেন। গুরুদাস ক্ষণকাল নীরবে থাকিয়া বলিলেন, ‘‘ডাক্তার বাবু আমাকে পূজার আরতি হওয়া পর্য্যন্ত আটক করিয়া রাখিলেন,-আমি কি করিব?” মাতা বলিলেন, “তুমি তাকে কেন বলিলে না যে মা বিরক্ত হইবেন।” পুত্র বলিলেন, “আমি কি অন্যের নিকট “মা বিরক্ত হইবেন’-এ কথা বলিতে পারি”? পুত্রের এই সুবিবেচনা-সঙ্গত-বাক্যে মায়ের বিরক্তির বিরতি চাইল;– আর কিছুই বলিলেন না। গুরুদাসের বাল্যজীবনে এরূপ ঘটনা অধিক ঘটে নাই। পূর্বেই বলা হইয়াছে, লোভ-শূন্যতা এই পরিবারের প্রধান অলঙ্কারলোভ না থাকিলে মানুষ সম্প্রস্থার বশবর্ত্তী হইয়া জীবন-সংগ্রামে অগ্রসর হইতে পারে না; কিন্তু স্তর গুরুদাসের জননী সর্ব্বদাই পুত্রকে স্পহার অধীন হইয়া বিদ্যা-অৰ্জনে অত্যধিক বাধা দিয়া বলিতেন, “বেশী খাটাখুটি, বেশী বাড়াবাড়ী, কিছুই ভাল নহে। নিজের শক্তি সামর্থের অনুরূপ। শ্রমসহকারে পড়াশুনা করি,-ফললাভ তোমার হাতে নাই;- ৰেশী থাইলেই যে উত্তম ফল ফলিবে, তা” মনেও ক’রো না, ফলদাতা বিধাতা উপযুক্ত সময়ে যোগ্যপাত্রে উপযুক্ত ফল বিধান করিয়া থাকেন।” এই বলিয়া মাতা সর্বদাই পুত্রের অধিক পরিশ্রমে বাধা দিতেন। ন্যর গুরুদাসও হৃষ্টচিত্তে মাতৃআজ্ঞা পালন করিয়া বিধাতার কৃপার উপর নির্ভর করিতে শিখিতে লাগিলেন। কিন্তু তবুও প্রথম যৌবনের