TRIBUTEs. To His MEMORY. 319 অতঃপর কর্ণেল শ্রীযুক্ত সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারী মহাশয় বলিলেন,- “আমি শ্রোতারূপে এই সভায় প্রবেশ করিয়াছিলাম। সভাপতি মহাশয়ের আদেশ, দু’চার কথা বলিতেই হইবে। স্বগীয় স্ত্যর গুরুদাসের কথা মনে হইলে আনন্দে বক্ষ স্ফীত হয় ও ক্ষীণ দেহে বালবৃদ্ধি হয়। পূজ্যপাদ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের শ্রাদ্ধবাসরে অনেকেই আসেন নাই দেখিতেছি। বড়ই দুঃখের বিষয় তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ণধারগণের মধ্যে একজন প্রধান পুরুষ ছিলেন; আমার মত শত শত ছাত্র র্তাহার হাতে সনন্দ পাইয়াছে। তঁহাদের অনেকেই আজ অনুপস্থিত। র্তাহারা স্বৰ্গীয় মহাত্মার কোন স্মৃতি রক্ষা করিতেছেন বা কি করিয়াছেন, তাহা আমি জানি না। তঁহার স্মৃতিসভার জন্য এত লোক সমাবেশের কেন এত চেষ্টা, তাহা আমি বুঝিতেছি না। যিনি চলিয়া গিয়াছেন, র্তাহার সম্মান আমরা কি করিতে পারি? চিত্র অ্যাকিয়া, গুণগান করিয়া কি সম্মান দেখান হয়? তাহার আদেশের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া দেশের ও সভার কার্য্য পরিচালন করিলে কতক পরিমাণে সভার উদ্দেশ্য সফল হইবে। তঁহার জীবনের সমালোচনা করিতে হইলে যুগপৎ অনেক বিষয়ের আলোচনা করিতে হয়। র্তাহার কোন কাজেরই সমালোচনা করিয়া শেষ করা যায় না। সভাপতি মহাশয় তাহার যে সকল কার্য্যের উল্লেখ করিয়াছেন, তাহদের পুনরুল্লেখ অনাবশ্যক। আমি মাত্র দু’চার কথা বলিব। (১) সভাপতি মহাশয় কর্ণেল সর্বাধিকারী মহাশয়কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিলেন এবং বলিলেন যে, তাহার অনুগ্রহে আমরা স্বগীয় মহাত্মার শেষ মুহুর্তের অনেক সংবাদ পাইলাম। (১) কর্ণেল সর্বাধিকারীর বক্ততা “জীবনের শেষ কয়েক দিবসের কথা”র মধ্যে ২৮৫-২৮৭ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য।