VO জীবন স্মৃতি। তৎকালীন অধ্যক্ষ ইয়ং সাহেবের নিকট গিয়া, প্যারীচরণ ক্লাসের নম্বরের যোগফল হিসাবে স্থান নিৰ্দ্ধারণের জন্য অনুরোধ করেন এবং সেই অনুরোধ রক্ষিত হইয়াছিল। বেলা চারটার পূর্বে exercise লেখা সমাপ্ত না। হইলে, প্যারীচরণের বেহারিার নিকট উত্তরের কাগজগুলি দিলেই চলিতশিক্ষকের অনুপস্থিতিতে ছাত্রগণ বলাবলি করিত না বা অর্থপুস্তক দেখিত না। তিনি ছাত্রাদিগকে সর্বান্তিঃকরণে বিশ্বাস করিতেন এবং তাহারা প্রাণপণে সেই বিশ্বাসের যোগ্য হইতে চেষ্টা করিত। সার গুরুদাস বলেন যে, তঁহাদের আমলের ছাত্রের যথেষ্ট খাটিত এবং সেই পরিশ্রমে আনন্দ বোধ করিত। তিনি দুঃখ করিয়া বলেন যে, বর্তমানকালে অনেক ছাত্রই অর্থপুস্তকের গত কপচাইয়া ও গৃহশিক্ষকের স্কন্ধে সমস্ত বোঝা চাপাইয়া, কার্য্য উদ্ধারের চেষ্টা করে। ইহার ফলে তাহারা বিদ্যাশিক্ষার বিমল আনন্দ হইতে বঞ্চিত হয়। অনেকেই দামি জুতা পায়ে দিয়া, সোয়েটার গায়ে দিয়া, গড়ের মাঠে একঘণ্টা দৌড়াদৌড়ি করিবে, কিন্তু মা বাপের অসুখ করিলে আধখানা রাত্রি জাগিলেও ক্লেশ বোধ করিবে, চার আনার বাজার করিতে চক্ষে সরিষা ফুল দেখিবে। এ সকল বিষয়ে সবই যে ছেলেদের দোষ নহে, এ কথাও তিনি বলেন। তঁহার সমক্ষে “কলিকালের” ছেলেদের নিন্দা করিলে, তিনি তৎক্ষণাৎ কলিকালের মাষ্টার ও বাবা মহাশয়দিগের কীর্ত্তি ঘোষণা করিতে ছাড়েন না। ১৮৫৯ সালের শেষে এণ্টান্স পরীক্ষায় সার গুরুদাস হেয়ার স্কুলের ছাত্রদের প্রথম স্থান কাধিকার করেন। কলিকাতা মিউনিসিপ্যালিটির বর্ত্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান শ্রীযুক্ত নীলাম্বর মুখোপাধ্যায়, সংস্কৃত কলেজ হইতে ঐ পরীক্ষা দিয়া, ঐ বিদ্যালয়ের প্রথম হন। হাইকোর্টের বর্তমান বিচারপতি শ্রীযুক্ত বসন্তকুমার মল্লিকের পিতা অতুলচরণ মল্লিক ( o, c,