জীবন স্মৃতি। VN) অভিমুখে যাত্রা করিয়াছিলেন। পথিমধ্যে নলহাটি ষ্টেশনে এক বিভ্রাট ঘটে-পুরুষেরা একবার নামিয়াছেন এমন সময়ে গাড়ি ছাড়িয়া দেয়। বহরমপুরে পৌঁছিয়াই সার গুরুদাসের প্রথম কন্যা দেড় বৎসর বয়সে বিসূচিকা রোগে গতায়ু হন। তিনি পরম সুন্দরী ছিলেন বলিয়া পিতামহী নাম রাখিয়াছিলেন মোহিনী। শু্যামাচরণ ভট্ট আসিয়া শোকবিহবল বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে সাত্মনা দিতেন, “কি ভায় এক ধাক্কায় কাবু হ’য়ে পড়লা? সংসারে ঢের ধাক্কা খেতে হবে, কাবু হোয়ে না।” ভট্ট মহাশয়ের শোককাহিনী শ্রবণে ও আত্মসংযম দর্শনে সার গুরুদাস হৃদয়ে বললাভের চেষ্টা করিতেন। ওকালতি করিবার প্রারম্ভে সার গুরুদাসের দেওয়ানি অপেক্ষা ফৌজদারি মকদ্দমার দিকে অধিক বোকা ছিল এবং ভাগ্যক্রমে তাহার সুবিধা ঘটিয়াছিল। মুর্শিদাবাদের সন্নিকটে এক দল; ধনাঢ্য লোক বাস করেন, তাহদের পদবী বঙ্গাধিকারী। জনৈক বঙ্গাধিকারী তাহার স্ত্রীর নামে বিষয় বেনামি করিয়া এক পুত্র ও এক কন্যা রাখিয়া মৃত্যুমুখে পতিত হয়। কন্যার বিবাহের পর জামাতাকে কেহ কেহ পরামর্শ দেয় যে তাহার শ্বাশুড়ীর সম্পত্তি তাহার স্ত্রীর প্রাপ্য। ঐ বংশের প্রথানুসারে উক্ত কন্যা পিত্রালয়ে ছিল এবং দরিদ্র জামাতা শ্বশুরালয়ে বাস করিত। স্ত্রীকে তাহার পিত্রালয়ে রাখিয়া শু্যালকের সহিত মকদ্দমা করার অসুবিধা, তজ্জন্য সে জোর করিয়া স্ত্রীকে নিজের বাটীতে আনিবার চেষ্টা করে। শুঙ্গালক বাধা দেওয়ায় সে পুলিশের আশ্রয় লয়। একদিন দুই দলে দাঙ্গা হইবার সময় লাল-পাগড়ি মহাপ্রভুদের শ্রীঅঙ্গে কিঞ্চিৎ অ্যাচড় লাগে। তৎফলে উক্ত বঙ্গাধিকারীর বিরুদ্ধে কোম্পানী বাহাদুরের লোক ও ধনবলের চক্র পুরাদমে ঘুরিতে আরম্ভ করে এবং প্রত্যহ পঞ্চাশ