জীবন স্মৃতি। V বনোদ্যপাধ্যায় মহাশয় আমাকে তাহার “জ্ঞান ও কর্ম্ম” নামক গ্রন্থের ১৮৮ হইতে ১৯৫ পৃষ্ঠা পড়িতে আদেশ করিলেন এবং বলিলেন যে, রবিবাবুর অসাধারণ মনীষার তেজে তাহার সমসাময়িক। অনেকের চক্ষু কলসিয়া গিয়াছে-চন্দ্রের জ্যোৎস্নায় মুগ্ধ হইয়া তাহার ভিক্ষুক মেয়ে। তার আর কিছুই নেই, গায়ে একখানি জীর্ণ চীর। গাছের আড়ালে দাড়িয়ে এই মেয়ে সেই চােরখানি প্রভুর নামে দান করলে। অনাথ পিণ্ডদ বললেন “অনেকে অনেক দিয়েছে, কিন্তু সবত কেউ দেয়নি। এতক্ষণে আমার প্রভুর যোগ্য দান মিলল, আমি ধন্য হলুম।” একজন প্রবীন, বিজ্ঞ, ধার্ম্মিক খ্যাতিমান লোক এই কবিতা পড়ে বড় কেলজ পেয়েছিলেন, বলেছিলেন “এ ত ছেলে মেয়েদের পড়বার যোগ্য কবিতা নয়। ’ এমনি আমার ভাগ্য, আমার খোড়া কলম খানার মধ্যে পড়তেই আছে। যদি বা বৌদ্ধ ধর্ম্মগ্রন্থ থেকে আমার গল্প আহরণ করে আনলুম, সেটাতেও সাহিত্যের আক্র নষ্ট হল। নীতিনিপুনের চক্ষে তথ্যটাই বড় হয়ে উঠল, সত্যটা ঢাকা পড়ে গেল। হায়রে কবি, একেত ভিখারিণীর কাছ থেকে দান নেওয়াটাই তথ্য হিসাবে অধর্ম্ম, তারপর নিতান্ত নিতেই যদি হয় তা হলে তাল পাতার কুঁড়ের ভাঙ্গা ব্যাপটা কিংবা একমাত্র মাটির হঁাড়িটা নিলে তা সাহিত্যের স্বাস্থ্য রক্ষা হতে পারত। তথ্যের দিক থেকে এ কথা নতশিরে মানতেই হবে। এমন কি, আমার মত কবিও যদি তথ্যের জগতে ভিক্ষা করতে বেরত, তবে কখনই এমন গহিত কাজ করত না, এবং তথ্যের জগতে পাগলা গারদের বাইরে এমন ভিক্ষুক মেয়ে কোথাও মিলতনা, রাস্তার ধারে নিজের গায়ের একখানি কাপড় যে ভিক্ষা দিত; কিন্তু সত্যের জগতে স্বয়ং