ԵՀ জীবন স্মৃতি। ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার হইয়াছিলেন। তঁহার পাঁচ ছয়টি ঘোটক ছিল। আদালতের কার্য্য করিতে করিতে একটু অবসর পাইলেই তিনি অশ্বারোহণে inspection করিতে যাইতেন। গৌরসুন্দরের বিপক্ষ দল জাতিতে মুসলমান। তাহদের সহিত ঐ আদালতের মুসলমান সেরেস্তাদারের খুব ঘনিষ্ঠত ছিল। উকিলাদিগের সহিত অশিষ্ট ব্যবহার করিয়া, ইনি অনেকের চক্ষুশূল হইয়া উঠিয়াছিলেন। হানকি যখন জুরর (Juror) দিগকে উক্ত মকদ্দমার অনুকুল ও প্রতিকুল বিষয়গুলি বুঝাইতেছিলেন, এমন সময়ে দেখা গোল যে উক্ত সেরেস্তাদার, গৌরসুন্দরের অনুকুল মন্তব্যগুলির বেলা চুপ করিয়া থাকে, আর প্রতিকূল মন্তব্যগুলির বিবৃতি কালে জুরর দিগের দিকে চাহিয়া মস্তক সঞ্চালন করে। সেরেস্তাদারের মুণ্ড নাড়ায়, জুরারিগণ বিপথগামী হইয়া তাহার। মক্কেলের মুণ্ডপাত করিতে পারেন, এই ভয়ে সার গুরুদাস ঐ ব্যাপারে হাকিমের মনোযোগ আকৃষ্ট করিলে, জজ তখনই সকলের সমক্ষে সেরেস্তাদারকে অপমান করেন। সেরেস্তাদারের লাঞ্ছনা দেখিয়া সার গুরুদাস ক্ষুন্ন হন এবং মকদ্দমায় জয়লাভ করিয়াই র্তাহার ইচ্ছা হয় যে সেরেস্তাদারের নিকট গিয়া দুটা মিষ্ট কথা বলেন। কিন্তু মতি বাবু ও অন্যান্য উকিলগণ, উহাকে তোয়াজ করিতে পুনঃপুনঃ নিষেধ করিলেন। কিছুদিন পরে দুর্গাপূজার অবকাশের সময় আসিল। সার গুরুদাস মাতিবাবু ও অন্যান্য বন্ধুগণকে নির্বন্ধসহকারে বলিলেন যে ছুটির পূৰ্বে ঐ সেরেস্তাদারকে একটু সাত্মনা না করিলে, তিনি ছুটিটা সুখে কাটাইতে পরিবেন না। বন্ধুবর্গের সম্মতি প্রাপ্তির পরে বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের সাত্মনা-সুরধুনী সেরেস্তাদারের গোসাঞীরাবতাকে ভাসাইয়া দিয়াছিল। সার গুরুদাস কখনও এক কপর্দক ঋণ গ্রহণ করেন নাই এবং