পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগবত—জীবন চক্রবত্তী—১৮শ শতাব্দী। న)(t হাসিয়া বড়াই পুনঃ কহিল কথন। কর্ণধারে বলে কিছু বিনয় বচন॥ পার হইতে তোমা সভার যদি থাকে সাধ। না কর নায়্যার সঙ্গে তোমরা বিবাদ। সাধিতে আপন কায কিবা নাই করি। বিবাদ হইয়া পাছে লয়া যায় তরী। তোমারে মরম কহি নায়া যাহা চায়। পার হৈয়া চল সবে আমি দিব দায়॥ এত শুনি বিনোদিনী কহিল তখন। শ্রীকৃষ্ণ-মঙ্গল-গীত জীবন রচন। শুন ভাই কর্ণধার গোপীগণে কর পার ধর্ম্মপথে তুমি দেহ মন। আমরা অবলা হই নিশি যদি এথা রই ছাড়িব সকল বন্ধুগণ॥ শাশুড়ী ননদী কাল কথায় মারয়ে শাল কত দুঃখ কহিব তোমারে। আমরা বরজ-নারী মাথায় পসরা করি দধি বেচি নগরে নগরে ৷ এমন বসন্ত কালে বিধাতা লেখিল ভালে নগর ভ্রমিয়ে ঠাঞি ঠাঞি। নারীগণ দুঃখ যত তাহা বা কহিব কত গোপীগণের বিনয়। এ দুঃখ জানিতে কেহ নাই॥ শিশু যুবা বৃদ্ধ কালে পিতা পতি পুত্র পালে (১) নারী স্বতন্তরা কভু নয়। সকল জানহ তুমি কি আর বলিব আমি বেলা অবসান মহাশয়॥ দয়া কর ওহে নাথ পুরুষ নাহিক সাথ বেলা দেখ হইল অবসান। যেই ইচ্ছা পালিহ পাছে ঠেকিলাঙ তোমার কাছে পাৱ করি কর পরিত্রাণ॥ (১) “পিতা রক্ষতি কৌমারে ভর্তা রক্ষতি যৌবনে। পুত্রশ স্থবিরে রক্ষেৎ স্ক্রিয় নাস্তি স্বতন্ত্রতা।”