সর্ব্বাংশে সুন্দর তব পুত্ত্র শিশুপাল।
ধনে মানে কুলে শীলে বিক্রমে বিশাল॥
অনুমতি ইথে যদি করহ আপনি।
লগ্ন পত্র লেখাপড়া করিগো এখনি॥
এত শুনি দমঘোষ সন্তোষ অন্তর।
হেসেও সে বলে এত করণীয় ঘর॥
অকর্ত্তব্য নহে ইহা কর্ত্তব্য নিশ্চয়।
বিদর্ভেতে কুটুম্বিতে সুখের বিষয়॥
এত শুনি রুক্মী অতি প্রফুল্লিত মন।
লগ্নপত্র নিধার্য্য করিল ততক্ষণ॥
পণ গণ দান আদি নিল্লয়[১] হইল।
মিষ্টান্ন সন্দেশ রুক্মী বহু বিলাইল॥
সুখ-যুত রাজ-সুত আসিয়া স্বস্থানে।
সমুদয় কহে নিজ পিতা-বিদ্যমানে॥
শ্রবণে বিদর্ভপতি অতি দুঃখ-মন।
কুরব[২] শ্রবণে রায় নীরব বদন॥
মনে মনে বলে কৃষ্ণ তুমি ইচ্ছাময়।
মম ইচ্ছা পূর্ণ কর হইয়া সদয়॥
বাসনা তোমায় আমি করি কন্যাদান।
সে সুখেতে দুঃখ দেয় মূর্খ কুসন্তান॥
নিজে বৃদ্ধ অশক্ত অপত্য ভাল নয়।
মম সত্য পূর্ণ কর হইয়া সদয়॥
এত ভাবি মহীপতি মৌনেতে থাকিল।
রুক্মী গিয়া অন্তঃপুরে রাণীরে কহিল॥
কল্য মাতা ছয় দণ্ড পরে শুভক্ষণ।
রুক্মিণীর গাত্রে কর হরিদ্রা-লেপন॥
শিশুপাল-সঙ্গে হল সম্বন্ধ নির্ব্বাহ।
পরদিনে গোধূলিতে হইবে বিবাহ॥
এত শুনি রাজরাণী তুষ্ট অতিশয়।
পয়ার প্রবন্ধে রাধাকৃষ্ণ দাস কয়॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—রাধাকৃষ্ণ দাস—১৯শ শতাব্দী।
৯৩৯