পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—রাধাকৃষ্ণ দাস—১৯শ শতাব্দী।
৯৪১

মনে মনে কারে বুঝি সঁপেছেন মন।
সেই ভাবে রাজবালা সচঞ্চল মন॥
হেন রূপে রঙ্গ করে যত সখীগণে।
দ্বারকা-বিলাস রাধাকৃষ্ণ দাসে ভণে॥

রুক্মিণীর গাত্রহরিদ্রা।

হয়ে আনন্দিতা ভীষ্মক-বনিতা
স্থির করি শুভক্ষণ।
মহা আনন্দেতে কন্যার অঙ্গেতে
করে হরিদ্রা লেপন॥
প্রতিবাসিগণ পায়্যা নিমন্ত্রণ
হয়ে সভে আনন্দিতা।
ভূপতি-ভবনে চলে রামাগণে
ভূষণে হয়ে ভূষিতা॥
যত নারীগণে গজেন্দ্র-গমনে
নিমন্ত্রণে সুখে যায়।
মধুর বচনে যত রামাগণে
রাণী বিনয় জানায়॥

গিন্নীবান্নী যারা সভে মেলে তারা
করে মঙ্গল আচরণ।
সুখে কোন ধনী করে শঙ্খ-ধ্বনি
উল্লসিত নারীগণ॥
যত কুল-বালা আনন্দে বিভোলা
কমলা লইঞা রঙ্গে।
হুলু হুলু দিয়া হরিদ্রা লইয়া
পরশে রুক্মিণীর অঙ্গে॥
পুলকিতা হয়ে গন্ধ-তৈল লয়ে
মাখাইল অঙ্গময়।
তাহাতে রুক্মিণী বিশেষ দুঃখিনী
বিষ-প্রায় জ্ঞান হয়॥
পরে যত মেয়ে দেবীরে লইয়ে
বসায়ে কদলীতলে।