をレー ময়নামতীর উক্তি। হাড়ির গুণপণা। দৈবজ্ঞের সংবাদ ও গণনা। দৈবজ্ঞের নিকট প্রশ্ন। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। ময়না বলে শুন যাদু চুপ করিয়া কই কথা। হাড়ি যেন না শুনে অভিশাপ দিলে মরবু এখন। তোর নগরীয়ে প্রদীপ জ্বলে তৈলে আর ঘিয়ে। ঐ হাড়ি প্রদীপ জালায় শুধু গঙ্গার জলে। যত গুটি প্রদীপ নাই তোর নগরীয়ার ঘরে। অত গুটি প্রদীপ হাড়ির খপরার (১) ভিতরে॥ কাহার ঘরে থায় হাড়ি কাহার ঘরে যায়। মুখর জেওয়াবে দরিয়া বাধা যায়। (২) দরবারে থাকিয়া রাজা বেচরিত মন। দয়ার ভাই গোলাম খেতুক ডাকে ঘনে ঘন॥ কোথায় গেল ভাই আগে পাণ খামু। বাপ কালিয়া পণ্ডিতক হাজির করিমু। (৩) এই কথা শুনিয়া খেতু না থাকিল রৈয়া। পণ্ডিতর মহলক লাগিয়ে গেল চলিয়া॥ তোক বল পণ্ডিত ঠাকুর বাক্য মোর ধর। রাজা তলব করে মহলর ভিতর॥ শীঘ্রগতি চলিয়া যাও রাজ-দরবার। চটক ধুতি মটক (৪) ধুতি পরিধান করিয়া। যোড় যোড় পৈতা দিলে গলায় তুলিয়া। (৫) পঞ্জিকার দপ্তর লৈল বগলে ডাবিয়ে। রাজ-দরবারক লাগিয়ে চলিল হটিয়ে॥ ভর কাছারী রাজ করে ডাম্বা ডৌল। হেন সময় খাড়া হইল পণ্ডিতর কুমার॥ কুলর দেবতা বলিয়া মহারাজ প্রণাম জানাইল। ভাইয়ে ঠাকুর বলিয়া পালঙ্কত বসাইল। ও ঠাকুর ও ঠাকুর দৈবক (৬) চূড়ামণি। কোন দিন রাজার বেটা সিলাইবে বুলি কথা। (৭) (>) রাখিবার মৃৎপাত্র। (২) মুখের কথায় নদীতে বাধ প্রস্তুত হয়। (৩) বাপের কালের পণ্ডিতকে উপস্থিত করিব। (৪) মটক=আসামের রেসনী বস্ত্র-বিশেষ (মটকা)। (৫) সে সময়ে কি কোথায়ও যাইতে হইলে উপবীত পরিতে হইত? (৬) দৈবজ্ঞ। - (৭) সন্ন্যাস-গ্রহণের পূর্ব্বে যে যে অনুষ্ঠান আবশ্বক, তাহারই কথা।