পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধযুগ—মাণিকচন্দ্র রাজার গান—খ্রঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। পিঞ্জিরার মাঝত কান্দে টিটিয়া মঞ্জর। শিকারী খেলাইতে কান্দে নওবুড়ি কুকুর। ডাক্টর থান (১) তোষাখানা কন্দে ঠাই ঠাই। জলটুঙ্গি (২) গোকুল কন্দে লেখা যোখা নাই। হাতী শালার হাতী কান্দে পৈধরত কন্দে ঘোড়া। পাট মহলর (৩) কান্দনে ভিজে জামা যোড়॥ এক শত গাভী কান্দে গলায় লেজ দিয়া। নও বুড়ি কুত্ত কন্দে চরণত পড়িয়॥ এক শত রাণী কন্দে মৃত্তিকায় গৈড় (৪) দিয়া। অজুন পছনা কন্দে দুই চরণ ধরিয়া॥ হায় হায় স্বামী ধন পালান ছাড়িয়া। কে আর পালিবে নবে ঘুতে অন্ন দিয়া॥ রাজার মা ময়না কান্দে চক্ষুত পানী দিয়া। এক ঝারি গঙ্গার জল যোগাইল আনিয়া॥ এক নেওয়াইজ পাতা (৫) আনিল যোগাইয়া। স্বর্ণর বাটীত লইল জল ঢালিয়া॥ যেন মতে রাজার মাথায় তুলিয়া দিল জল। রাজ্য ভূম সিংহাসন করে টলমল। ক্ষুর ধরিয়া নাপিতর বেটা চতুর্দ্দিকৃত চায়। রাজার মস্তককার হুকুম না পায় হাজামত বানায়॥ মুণ্ডল। ময়না বলে নাপিতর বেটা কার পানে চাও। মোর যাদুর মাথা কামাইতে না ঘিণাও॥। হীরা দিয়া বান্ধি দিমু মাণিক দিমু চিন। (৬) সকল চুল কমাইও রাইখ বম (৭) চুলি। - অবশু উড়াইবু হারিবু কেন্থা ঝুলি। (১) এখানে পূর্ব্বে অন্ত কোন কথা ছিল, বোধ হয় তাহা দপ্তরখানা, তাহা হইতে সম্প্রতি ‘ডাক্টর থানা’ করা হইয়া থাকিবে। (২) কোন নদী বা সমুদ্রের নিকট উচ্চ স্থান নির্ম্মাণ করিয়া যেখান হইতে প্রহরীগণ শত্র-সৈন্তের আগমন পর্য্যবেক্ষণ করে, তাহাকে ‘জলটুঙ্গি’ বলা হইত। (৩) পাটেশ্বরী মহলের, অর্থাৎ রাণীদিগের। (৪) গড়াগড়ি। (৫) কলার আগ-পাত। (৬) তোমার ক্ষুরের বাট হীরাদ্বারা বাধাইয়া দিব এবং চিহ্নস্বরূপ তোমাকে একটি মাণিক্য দিব। (৭) ব্রহ্ম-চুল, টিকি (?)।