বৌদ্ধযুগ—মাণিকচন্দ্র রাজার গান—খ্রঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। ৬৫ ছাই ভস্ম করিয়া কড়িক পটামু। যমর ঘর হাড়ির পাছে গমন করিমু॥ এক শত রাণী গেল খেতুর বরাবর। অজুন পছনা গেল আপনার মহল। (১) বার জাগায় চৌকি পহরা তের জাগায় থানা। অতিথ বৈষ্ণব যাবার ঐ বাড়ী মান॥ (২) যেন মতে (৩) কহা দুইটী মন্দির সোন্দাইল (৪)। বিন ছোড়ানে (৫) ধর্ম্মর কপাট আপনে লাগিল॥ পাশা ধরিয়া বসিল আওলা (৬) করিয়া। যে দিন হস্তর পাশা পড়িবে আউলিয়া॥ ঐ দিন মোর স্বামী যাইবে মরিয়া॥ রাজ্য ভার রইল জননী মায়র কোলত। হাড়ি রাজা (৭) চলিয়া গেল পরদেশ সহরত॥ এক ক্রোশ দুই ক্রোশ পঞ্চ ক্রোশ গেল। চরণ ফাটিয়া রাজার রক্ত পড়িবার লাগিল। দুখ মোর লিথিয়াছে কপালে ওরে বিধি নিরলে (৮) বসিয়া। এক দিন দুই দিন সাত দিন হইল। কি রাত্র কিবা দিন হাটবার লাগিল। এই রাজার মুলুক ছাড়িয়া অন্ত মুলুক গেল। হাড়ি বলে জয় বিধি মোর কপালর ভাল॥ দম্প কথা বলিছে রাজা আমার বরাবর। (৯) কিছু দুখ দেওঁ ঘড়িকর (১০) ভিতর॥ (১) এক শত রাণী স্বামীর অভাবে দেবরের সঙ্গিনী হইলেন; শুধু অছন ও পছন। স্বতন্ত্র অন্তঃপুরে যাইয়া শোকার্ত হইয়া রহিলেন। (২) যে মহলে অল্পনা ও পঢ়ন প্রবেশ করিলেন, সে মহলে দ্বাদশটি স্থানে প্রহরী নিযুক্ত হইল এবং ত্রয়োদশটি স্থানে তাহদের আড রহিল। অতিথি এবং বৈষ্ণবগণ যাহারা সর্ব্বত্র অব্যাহত-গতি তাহদেরও সেই মহলে যাইবার অধিকার রহিল না। (৩) মাত্র =ক্ষণে। (৪) প্রবেশ করিল। (৫) চাবিতে। (৬) এলোমেলো। (৭) রাজার গুরু হাড়ি ও স্বয়ং রাজা। (৮) নির্জনে = গোপনে। (৯) রাজা দম্ভের সহিত প্রথম আমাকে তুচ্ছ কবিয়াছিল। (১০) এক ঘড়ির ( দণ্ডের ) মধ্যে। 5. রাজার খেদোক্তি। রাণীদিগের অবস্থা। অদুনী ও পদুনীর বাস স্থান। রাজার গুরু-সঙ্গে গমন ও বিবিধ কষ্ট।