〉ob" মাণিকচন্দ্র রাজার মৃত্যু বিবরণ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। কহিলে সে সব কথা মনে নাহি ভয়। তুমি হৈলে অমর বাপে যমে লয়্যা যায়। সুবর্ণচন্দ্র মহারাজা ধাড়ীচন্দ্র পিতা। তার পুত্র মাণিকচন্দ্র শুন তার কথা॥ মোরে বিভা কৈল রাজা অল্প বয়সে। গেলেন তোমার পিতা মোর বাপের বাসে॥ ধ্যানে দেখিলাম স্বামীর অকাল মরণ। কেহ না আদরে তারে জিজ্ঞাসে কথন॥ পরিচয় দিনু আমি ধ্যানেতে বসিয়া। পলাইল তোর পিতা রাক্ষসী বলিয়া॥ সেই হইতে তোর পিতা না আইসে মোর পাশে। মোর বাপে কয়্যা রাজা গেল নিজ দেশে॥ তোর পিতা মোর তরে করয়ে তরাস। মোরে ভয় করি রাজা বঞ্চে গৃহবাস॥ তখন আমার গর্ভ হইল ছয় মাস। সেই গর্ভে গোবিন্দচন্দ্র তোমার প্রকাশ॥ গুণিয়া দেখিলাম স্বামীর নিকট মরণ। না শুনিল মহাজ্ঞান অবোধ রাজন॥ কালান্তক যম (১) আইল রাজারে লইতে। রাজা নাহি জানে তাহা না পায় দেখিতে॥ যতনে রাখিলাম রাজায় ঘরের ভিতরে। আপনি বসিলাম সেই ঘরের দুয়ারে॥ পাষাণ দেয়াল ঘরের লোহার কপাট। হীরার বাধুনি নাই পিপীড়ার বাট। প্রথমে আইল যম দাণ্ডায়ে বাহিরে। আমারে দেখিয়া যম আসিতে না পারে। হুঙ্কার ছাড়িলাম আমি দেখিয়া যমেরে। সন্তরি যোজন যম পলাইল ডরে॥ রতন জলিছে ঘরে বিশাশয় (২) বাতি। বাহিরে আইল যম দুই প্রহর রাতি॥ (১) পরবর্তী দুর্লভ মল্লিক কবি “গোদা-যম” প্রভৃতির স্থলে “কালান্তক যম,” “যমদূত” প্রভৃতি কথা ব্যবহার করিয়া প্রাচীন গাথার সংস্কার (২) ১২০ বাতি।