পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। ভাঙ্গড়ের মৃত্যু শাস্ত্র নাহি কদাচন। নাহি মৈল হলাহলে করিএ ভক্ষণ॥ তোমা হেন পদ্মিনী কি পাগলেরে সাজে। বুড়া বরে মনে ধরে ছি ছি কোন লাজে। শস্তুর স্বধন নাই নাহিক ভরসা। তার ঘরে গেলে পরে ঘটিবে দুর্দশ। তাই বলি বিধুমুখি না করিহ পণ। তোর যোগ্য বর নহে ক্ষেপী পঞ্চানন॥ ইন্দ্র দেবরাজ যদি দেখা পায় তোরে। তোমার মাথার দিব্য শচী ত্যাগ করে॥ বিষ্ণু যদি তোমারে তিলেক তরে পান। লক্ষ্মী-সরস্বতী পানে ফিরিয়া না চান ৷ না হয় তোমাকে আর বলি এক কথা। আমিএ একাকী মোর নাহিক বনিত॥ কালিকার পাদপদ্ম হৃদে করি আশ। রচিলা শ্রীকালিদাস কালিকা-বিলাস॥ গিরিরাজ হিমালয়ের সঙ্গে সন্ন্যাসি-বেশী শিবের বাদানুবাদ ও গিরিরাজ-কৃত শিবের বন্ধন। গৃহে আসি গিরি রায় গঙ্গাধরে দেখা পায়। ছদ্মবেশে বসে ত্রিলোচন। ক্রোধেতে শিখরবর হরে করে কটুক্তর বলে তোর একি আচরণ॥ শুন রে ভণ্ড অজ্ঞান নাহি তোর কাণ্ডজ্ঞান প্রকাণ্ড শরীর মাত্র সার। নাই কিছু বোধাবোধ কোন সাহসে রে অবোধ অন্তঃপুরে আইলি আমার॥ হিমে কহে ত্রিপুরারি শুন নিবেদন করি শ্বশুর গে করহ স্মরণ। দেখে তব গৌরী কন্তে জামাই হবার জন্তে তব পুরে হইল আগমন॥ কথা শুনে হিমালয় আর রাগে অঙ্গ দয় (১) অতিশয় কোপেতে কম্পয়। (১) দগ্ধ হয়।