বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। বরবেশে বৃদ্ধ শিব। কহে রামাগণ এই কি বর। এটা যে ভাঙ্গড় ভূতুড়ে হর। আহা মরি উমা রূপের চূড়া। সে কপালে হলো ত্রিকাল-বুড়। পূর্ণচন্দ্র জিনি উমার মুখ। উমার কুন্তল মেঘের মালা। এ বুড়ার জট তামার শলা। (১) সিন্দরের বিন্দু উমার ভালে। বুড়ার কপালে অনল জলে ৷ চন্দনে চর্চিত উমার কায়। আই আই ছাই বুড়ার গায়। উমার বসনে বিচিত্র কায। দিগম্বর বর একি গে৷ লাজ ৷ রতনে শোভিত গিরীন্দ্রবালা। বরের গলে যে হাড়ের মালা॥ তাড় তোড় বালা উমার গায়। বুড়ার বপুতে ফণী ফোফয়॥ নীল উৎপল উমার আখি। ওড় ফুল (২) সম ইহার দেখি ৷ আহা মরি উমা সোণার লতা। বাউলের করে দিল বিধাতা। চকোর মুখেতে যাহা না পায়। সেই সুধা বিধি কাকেতে খায়ায়॥ এইরূপে কহে রমণীগণ। শুনিএ হাসেন শিব তখন॥ পাগলের বেশ শঙ্করে হেরে। রাণীর নয়নে সলিল ঝরে॥ কালীর চরণ করে স্মরণ। দ্বিজ কালিদাস করিল রচন। (১) “বুড়ার জট তামার শলা”—ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল। (২) জবাফুল।