পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫০ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সম্পদবিহীন শিবের বাসস্থান নাই। উমা নাকি শ্মশানবাসিনী শুন্তে পাই॥ মৈনাকেরে ভুলে ছিলে পেএ প্রাণ-গৌরী। সে ধন বিহনে প্রাণ কিসে সহ করি॥ সহজে পাষাণ দেহ কঠিন জীবন। নহিলে সে ধন বিনে বাচি কি কখন॥ নয়নের তারা তারা রাখিএ অন্তরে। কার মুখ চেয়ে গিরি থাকি প্রাণ ধরে। এ সব বৈভব আমি দেখি তুচ্ছ প্রায়। উমাচন্দ্র বিনে পুরী শোভা কি হে পায়। সতত অন্তরে জাগে উমার মাধুরী। দুঃখানলে অন্ত্র জলে সাম্য হতে নারি॥ যে দিকে নিরখি দেখি যেন তমোময়। না দেখি উমার মুখ হৃদি বিদরয়॥ কোথায় আমার মেয়ে শীঘ্র দেহ এনে। মা বলে ডাকিলে উমা তুষ্ট হই প্রাণে॥ চক্ষের বাহির করে অঞ্চলের ধন। পাপ-দেহ কত সবে রাখিব জীবন॥ বিধি বুঝি চিরজীবী আমারে করেছে। সেই জন্তে বিনে কন্তে পাপ-প্রাণ আছে ৷ সে সব কথার আর নাহি পরিচয়। শূন্তময় পুরী দেখি আমার আলয়। ভবনে ভবানী আনি বাচায় আমারে। সদা মনে পড়ে তারা জু নয়ন ঝোরে॥ স্বপনে দেখেছি গিরি গৌরীকে আমার। বিনে অন্ন কৃষ্ণবর্ণ অস্থিচর্ম্মসার॥ রাজার কুমারী হয়ে ভিখারিণী প্রায়। ইহা কি মায়ের প্রাণে সহে গিরিরায়॥ তুমিত তনয়া বলে ভাব না অন্তরে। আমারে যে মা বলিতে আর নাই ঘরে। তাড়াতাড়ি কৈলাসেতে যাহ হিমালয়। এনে দেহ হীরা তারা বিলম্ব না সয়॥ এই রূপে গিরিরাণী করএ রোদন॥ কালিদাস কহে রাণি স্থির কর মন॥