পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনসামঙ্গল—খ্রঃ ১২শ শতাব্দী—কাণা হরিদত্ত। ՖԳ(: হেমন্ত বসন্ত নাগে পৃষ্ঠের থোপনা। সর্ব্বাঙ্গে নিকলে যার অগ্নি কণা কণী॥ অমৃত নয়ান এড়ি বিষ নয়ানে চায়। চন্দ্র স্বর্য্য দুই তারা আড়ে লুকায়॥ কাণ হরিদত্তের পদ ভাঙ্গিয়া পুরুষোত্তমনামক কবি এই পদ রচনা করিয়াছেন॥ ৪ চাদ সদাগরের খেদ। ক্ষীরোদ-জলে চাদ লখাইরে ভাসাইয়া বিস্তর করিছে বিষাদ। পুত্র পুত্রবধু জলেতে ভাসাইয়া কি আর জীবনে সাধ। বাণিজ্য করিয়া পাইলাম হীরামণ মাণিক্য সম্পূর্ণ চৌদখানি ভরা। o মনসা পরিবাদে সকলি হারাইলাম আপনে আসিলাম একা। আমার গেল ধন জন বাড়ীর ভাজন পুত্র গেল ইন্দ্রের সমান। ঘোড়ার পাইক শালে ঘোড়া না রহিল হস্তীশূন্ত পিলখানা। প্রাণের লখিন্দর ভূড়ার উপর ভাসিয়া যায় কতদূর। পাথরের স্তম্ভ আনি তাহাতে কপাল হানি খেদ করিল প্রচুর॥ সাতটা পুত্র হৈল একটা না রহিল কেবল পদ্মার বাদে। লখাইরে ভাসাইয়া শিরোপরে হাত দিয়া ঘন ঘন সাধু কান্দে॥ ছয় পুত্র হারাইলাম তোমা ধন পাইলাম কেবল পদ্মার বরে। মুদ্রিত বিজয় গুপ্তের পাপুৱালেই আছে, অথচ সেই পুস্তকের ভূমিকায় উল্লিখিত হয় নাই।