পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>bペ সোণকার আগমন। সোণকার খেদ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। স্বামী সঙ্গে যেই নারী অগ্নিতে প্রবেশে। সেই সব নারী জান যায় স্বৰ্গবাসে॥ এথাতে কান্দএ বিপুল প্রভু প্রভু কবি। পুরীত (১) থাকিয়া শুনে সোণকা সুন্দরী॥ ক্রন্দন শুনিয়া তথা সোণাই দিল লড় (২)। চুল না বান্ধে সোণাই না পিন্ধে কাপড়॥ লড় দিয়া গেল সোণাই মাজুষ নিকট। লখাই মরণ শুনি হইল সঙ্কট॥ লর্থীন্ধর লখীন্ধর ঘন ঘন ডাকে। ত্রস্ত হইয়া সোণকা জিজ্ঞাসে বিপুলাকে॥ তোমার মরণ পুত্র অন্ধ হৈলুম পুরী। সর্ব্ব শূন্ত হৈল মোর চম্পক নগরী। অন্ধ দুই সর্ব্ব কার্য্য দুই চক্ষু থাকিতে। এ হেন সুন্দর বধূ রাখিব কি মতে॥ সর্ব্ব গুণ বধূর তিলেক দোষ নাই। যে বলিমু বধূর দোষে মৈলেক লখাই। (৩) উচ্চ শ্রবণ (৪) নহে গৃধিনীর জ্যোতিঃ (৫)। চিরল দশন নহে মুকুতার পাতি॥ হিয়া যে অশোভা নহে উচ্চ নহে পৃষ্ঠে। বিধবা লক্ষণ নাহি বধূর ললাটে। সুমতি সুশীল বধু মাজা শঙ্খ জিনি। বচন মধুর যেন কোকিলের ধ্বনি ৷ হংস গমন নহে খড়ম-চরণ (৬)। বধুর দোষে নহে মোর পুজের মরণ॥ মুখে মুখ দিয়া কান্দে সোণক সুন্দরী। বিষাদ করিয়া কন্দে উচ্চ স্বর করি॥ কবি নারায়ণে কহে মনসার দাস। সোণকা ক্রন্দন করে অশেষ বিশেষ॥ (১) পুরীতে। - (২) সনকা দৌড় দিল। (৩) যাহাতে বলিতে পারিতাম যে বধূর দোষে লক্ষ্মীন্ধরের মৃত্যু (৪) খাড়া কাণ অশুভ লক্ষণ। (৫) বেহুলার কর্ণ গৃধিণীর কর্ণের প্রভা ধারণ করে। (৬) যাহার পদতল উচ্চ থাকে, হাটিতে পদ শব্দ শুনা যায়, তাহাকে ‘খড়ম-পাইয়া’ বলে;–ইহা অশুভ চিত্ন।