২০০ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সোণকাকে মনসাদেবীর পুত্রলাভের বরদান। সপুটে যুড়িয়া কর মাগে সোণা পুত্রবর মোরে পুত্রবর দেও বিষহরী। দিলাম দিলাম পুত্রবর নাম থুইয় লক্ষ্মীন্ধর হইলে মাত্র আনিব হরিয়া। শুন ওহে বিষহরী আই এ বরে মোর কার্য্য নাই দেয় মোরে এ বর ছাড়িয়া ৷ দিলাম দিলাম পুত্রবর নাম থুইয় লক্ষ্মীন্ধর কর্ণবেধে আনিব হরিয়া। শুন ওহে বিষহরী আই এ বরে মোর কার্য্য নাই দেয় মোরে এ বর ছাড়িয়া॥ দিলাম দিলাম পুত্রবর নাম থুইয় লক্ষ্মীন্দর অন্নাশনে আনিব হরিয়া। শুন ওহে বিষহরী আই এ বরে মোর সাধ নাই দেয় মোরে এ বর ছাড়িয়॥ “ দিলাম দিলাম পুত্রবর নাম থুইয় লক্ষ্মীন্ধর বিয়ার রাত্রে আনিব হরিয়া। নেতা বলে সোণা শুন বিলম্বে নাহিক গুণ হলে পুত্র না করায় বিয়া॥ এতেক ভাবিয়া রাণী আপন হৃদয়ে গণি লইল বর আঁচল পাতিয়া। পদ্মাবতী পরশনে সানন্দে বিজয় ভণে লইল বর মস্তকে বান্ধিয়॥ চৌদ্দ ডিঙ্গ। হেতাল বাড়ি (১) কান্ধে করি চলে সদাগর। হরষিতে চড়ে সাধু দোলার উপর। সত্বর হইয়া সাধু ডিঙ্গায় চড়িল। একে একে চৌদ্দ ডিঙ্গা বাওয়াইয়া (২) দিল॥ প্রথমে বাওয়াইল ডিঙ্গা নামে মধুকর। যেই নায় চলিল লক্ষের (৩) সদাগর। (১) হেঁতালের হেংগলের) e বাইল। (৩) লক্ষপতি।