રર
や তিলোত্তম। তারাবতী, যোজনগন্ধ। অপরাপর বিদ্যাধরী। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। চন্দ্র উদয় যেন করিল প্রকাশ। শশিপ্রভার নৃত্য দেখি দেব-সভার হাস॥ স্থতার সঞ্চারে নাচে বায়ু ভর করি। একে একে সকল মোহিল সুরপুরী॥ অধরে মধুর হাসি ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিম। শশিপ্রভার অবসরে আইল তিলোত্তম॥ মাথায় ঢালুয়া খোপা ধরিছে পেখম। তিলোত্তমার নৃত্য দেখি হাসে দেবগণ॥ তার পাছে তারাবতী বত্রিশ তালে পূরি। বাহির হৈল যোজনগন্ধা নামে বিদ্যাধরী॥ গায়ের মদগন্ধ যায় যোজনেক পথ। পড়নী উড়নী অঙ্গে ঘুঙ্কুট সাত শত। গঙ্গাজলী সাড়ীতে শরীর আচ্ছাদিয়া। কৌতুকে করয়ে নৃত্য তালেতে ভাসিয়॥ গমন গজেন্দ্র-গতি মদন অলসে। মোহিত করিল সভা নানা বাক্যরসে॥ প্রেমের লোচন-তারা সুরেখা সুন্দরী। তার পাছে নৃত্য করে বপু বিদ্যাধরী। চন্দ্রমুখী চন্দ্রকলা নাচে দুই সখী। রত্নমালা নাচে যেন খঞ্জনিয়া পার্থী॥ রোহিণী মোহিনী সত্যবতী মনোরম ৷ সর্ব্বজয় সত্যভামা নাচিছে সুরমা॥ রেবতী কাঞ্চনমালা নাচে মনোহর। শূন্তভরে লম্বিত কাঞ্চলি পয়োধর। এহি মতে যতেক প্রধান বিদ্যাধরী। একে একে নৃত্য করে দেখে বিষহরী॥ হাসিয়া ইন্দ্রের ঠাই বলিলা বচন। এখনে দেখিতে নৃত্য উষার নাচন॥ অনিরুদ্ধ উষা ভাল নাচে হেন শুনি। দেখিতে উষার নৃত্য আজ্ঞা দেহ জানি॥ এত শুনি পুরন্দরে বলিল হাসিয়া। সত্বরে আনহ উষা নৃত্য করুক আসিয়া॥ চিত্ররেখা বলে উষা বিলম্বে নাহি কায। অবশ্য যাইবা দেখি শীঘ্র কর সাজ॥