মনস-মঙ্গল —দ্বিজ বংশীবদন—১৬শ শতাব্দী। Rసి তাত তিতি থৈয়া থৈ হাতে মুখে তাল কৈ (১) মোহিত করিল মুরপুরী॥ খঞ্জন-গমন হাটে হাতে লয়ে তাল বাটে চামর তুলিছে ঘন পাকে। আর সব দেবলোকে রঙ্গ দেখে কৌতুকে মনসা রহিছে ছিদ্র তাকে (২)॥ মাথায় জলের ঘটী দুই হাতে তাল বাটি নাচে কাচা শরীর উপরে। এক পায়ে করি ভর যেমন ফিরে ভ্রমর মনসা তখনে মন হরে॥ পদ্মা হরিল মন তাল হৈল বিস্মরণ তালভঙ্গ। শর ভাঙ্গি পড়িল ভূমিতে। তাল ভঙ্গ হৈল কাযে শাপ দিল দেবরাজে ভয়ে উষা পরম চিন্তিতে॥ তালে নাহি অবধান আমা করে অবজ্ঞান শাপ। অনিরুদ্ধ উষা দুইজনে। শাপ দিল এই দোষে তোমরা দ্বাদশ বর্ষে থাক গিয়া এ মর্ত্য ভূবনে॥ - উষা যদি পাইল শাপ দেবগণে মনস্তাপ দেব-সভা করে হাহাকার। দ্বিজ বংশী দাসে গায় দেবগণ ঘরে যায় কার্য্যসিদ্ধি হৈল মনসার॥ চাদ সদাগরের দক্ষিণ পাটন যাত্রা। চলে সাধু দক্ষিণ পাটন। চম্পক নগরে মিলি কৌতুকে হুলাহুলি জয় ধ্বনি উঠিল গগন। বসিয়া কাঞ্চন থাটে যাত্র মঙ্গল পাটে ইষ্টদেব করিল স্মরণ। হস্তে ধান্ত দুর্ব্বা নারী পূর্ণ কুম্ভ সারি সারি বেদ পঠে গুনই ব্রাহ্মণ॥ (১) কহিয়া। (২) ছিদ্র অনুসন্ধান করিয়া।