৩২০ রজক। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। উঠিয়া প্রভাত কালে তসবি লইয়া করে জপ করে কারে নাঞি শঙ্কা॥ উত্তম বিছানা পায়্য পশ্চিমের মুখ হৈয়৷ পঞ্চ বার করএ নেমাজ। পীরের ফয়তা পড়ি হাত দিয়া পুছে দাড়ি মসজিদে দেই লৈয়া সাজ॥ ছুরিখান লৈয়া করে মোল্লা সহরে ফিরে ডাকে কেহ করিয়া আদর। বকরি জবাই করি কড়ি পায় ছয় বুড়ি মোল্লানার হরিষ অন্তর॥ কেহ করে জোলাবৃত্ত কাপড় বুনএ নিত্য বেচা কেনা করয়ে নগরে। কেহ হৈয়া শাণগর শাণ বান্ধে নিরন্তর কেহ অস্ত্রের মলা দূর করে। কুজুড়া কারাড়ী হৈয়৷ নানা দ্রব্য আনে বৈয়া বেচে লৈয়া নগর ভিতর। স্বভাবে উন্মত্তচেতা সদা কহে কটুকথা কলহে আবেশ নিরন্তর॥ পাইয়া পুখুর ঘাট রজক পাতিল পাট বসন সকল ধৌত করে। আসে পাশে দিয়া পাতি বস্তে আর কত জাতি স্থল নাঞি গুজরাট পুরে। নব লক্ষ বস্তে ঘর শুনি সুখী বীরবর কালকেতু ভাবএ চণ্ডিকা। অদ্রিজ (১) মঙ্গল-কাম বিরচিল হরিরাম শোভাও সিংহে (২) রক্ষিবে অম্বিকা ৷ ধনপতি সদাগরের পায়রা লইয়া খেলা। সাধুৱ শুনিঞা কথা নগরিয়া গণ। নিজ নিজ পায়রা সভে আনে করি পণ। ধনপতি দত্ত তবে আদেশে কিঙ্করে। একে একে পায়রা আনে হইতে পিঞ্জরে॥ (১) গিরিজা। রাজ্যে কবি বাস করিতেন, তাহার নাম। (২) শোভাও সিংহ = সম্ভবতঃ, যে রাজার