চণ্ডীকাব্য—কবিকঙ্কণ—১৫৭৭–১৫৮৯ খৃষ্টাব্দ। H8ළු সীতাগো পরমসতী তার শুনহ দুৰ্গতি দৈবে ছিল রাবণভবনে। রণেতে তাহারে হানি সতী জানকীরে জানি তবে সে আনিল নিকেতনে॥ রজকের শুনি কথা পরীক্ষা করয়ে সীতা পুনরপি পাঠান কাননে। যেমন তিলক পানী (১) - তেমনি অসত্য বাণী সত্যবাণী তিলক চন্দনে॥ পুরাণ বসন ভাতি অবলা জনার জাতি রক্ষা পায় অনেক যতনে। (২) . যথা তথা উপনীত দুহাকার অনুচিত হিত বিচারিয়া দেখ মনে॥ দেখিগে উত্তম জাতি দেবের সমান ভাতি তুয়া পদে কি বলিতে জানি। শুনিয়া বীরের কথা লাজে চণ্ডী হেট মাথা (৩) মুকুন্দ রচিল শুদ্ধ বাণী॥ মৌনব্রত করি যদি রহিল ভবানী। ঈষৎ কুপিত বীর বলে যোড়পাণি॥ বুঝিতে না পারিগো তোমার ব্যবহার। যে হও সে হও তুমি মোর নমস্কার। ছাড় এই স্থান রামা ছাড় এই স্থান। আপনি রাখিলে রহে আপনার মান॥ একাকিনী যুবতী ছাড়িল নিজ ঘর। উচিত বলিতে কেন না দেহ উত্তর॥ বড়র বহুরী তুমি বড় লোকের বী। বুঝিয়া ব্যাধের ভাব তোর লাভ কি॥ (১) “কত ক্ষণ জলের তিলক রহে ভালে। কত ক্ষণ রহে শিলা শূন্তেতে মারিলে।” কাণী দাসের মহাভারতীয় উদ্ধত পদে জলের তিলক’ যে ভাবে ব্যবহৃত হইয়াছে, এখানে তিলক পানী ঠিক সেই অর্থে প্রযুক্ত। (২) স্ত্রীলোকের জাতি অতি পুরাতন বস্ত্রের দ্যায় অনেক কষ্টে রক্ষা পায়। (৩) এই লজ্জা কপট লজ্জা।