চণ্ডীকাব্য-কৃষ্ণকিশোর রায়—১৭শ শতাব্দী। কৃষ্ণকিশোর রায়। বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ-কুলে ‘কাল্যাই গাঞী’তে উৎপন্ন কৃষ্ণমঙ্গল রায়ের পুত্র কৃষ্ণকান্ত। কৃষ্ণকান্তের মাতার নাম সর্ব্বেশ্বরী। কৃষ্ণকান্তের সর্ব্বকনিষ্ঠ পুত্র কৃষ্ণকিশোর রায়। কৃষ্ণকিশোরের মাতার নাম জগদীশ্বরী ও পত্নীর নাম রত্নমণি দেবী। কৃষ্ণকিশোর কোন রাজার সভায় চাকুরী করিতেন। তিনি নানা পুস্তক হইতে এই কাব্য সঙ্কলন করিয়াছেন, এইরূপ জানাইয়াছেন। ভব ভাসিল হৈল হেমন্ত-মুতী। অতি রূপবতী সুলক্ষণ যুক্তা। লোক-মুখে মুখে এহি কথা শুনি। দরশনে চলিলা নারদ মুনি॥ তেজ মধ্যাহ্ন-কালের যেন ভাই। অতি উজ্জল প্রজলিত কৃশানু॥ শিরে শোভিত লম্বিত জটা-ভার। পাকশাশ্র বদনে শ্বেত চামর॥ তপকষ্ট সুজীণীত কৃশ তনু। মহাভক্তি পরায়ণ ব্রহ্মজনু (১)॥ গলে যজ্ঞোপৰিত পবিত্র চিত। কুশমুষ্টি কুশাঙ্গুরী স্থশোভিত। কুশডোর কটিতে পরে কৌপীন। সদানন্দ প্রমত্ত মুনি প্রবীণ॥ করে বীণা বাজায় করিছে গান। পরমেশ্বরী ব্রহ্মময়ী গুণান। বলে দুৰ্গতিনাশিনী দুর্গা তারা। মহাকাল-মোহিনী মহেশ-দারা॥ গুণময়ী গুণালয় গুণবতী। গুণগম্য গুণাশ্রয়া গতিমতি॥ ত্রিগুণাত্মিক তারিণী দক্ষসুত। দমুজাধিপ নাশিনী মন্ত্রপূত। মহিষাসুর-মদিনী দুঃখহর। পরমেশ্বরী ঈশ্বরী পাৱপরা॥ (১) ব্রহ্মার পুত্র। 8 * v$)ჯჯა