পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ–কৃত্তিবাস—জন্ম ১৩৮৫-১৪০০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে। পাটের চাঁদোয় শোভে মাথার উপর। মাঘমাসে খরা (১) পোহায় রাজা গৌড়েশ্বর॥ দাণ্ডাইনু গিয়া আমি রাজ-বিদ্যমানে। নিকটে যাইতে রাজা দিল হাত সানে (২)॥ রাজ-আদেশ কৈল পাত্র ডাকে উচ্চৈঃস্বরে। রাজার সম্মুখে আমি গেলাম সত্বরে। রাজার ঠাই দাড়াইলাম হাত চারি অন্তরে। সাত শ্লোক পড়িলাম শুনে গৌড়েশ্বরে। পঞ্চদেব অধিষ্ঠান আমার শরীরে। সরস্বতী-প্রসাদে শ্লোক মুখ হৈতে স্কুৱে। নানা ছন্দে শ্লোক আমি পড়িচ্চু সভায়। শ্লোক শুনি গৌড়েশ্বর আম পানে চায়॥ নানা মতে নানা শ্লোক পড়িলাম রসাল। খুলী হৈয়া মহারাজ দিলা পুষ্পমাল৷ কেদার খাঁ শিরে ঢালে চন্দনের ছড়া। রাজা গৌড়েশ্বর দিল পাটের পাছড়া (৩) ৷ রাজা গৌড়েশ্বর বলে কিবা দিব দান। পাত্র মিত্র বলে রাজা যা হয় বিধান ৷ পঞ্চগৌড় চাপিয়া গৌড়েশ্বর রাজা। গৌড়েশ্বর পূজা কৈলে গুণের হয় পূজা। পাত্র মিত্র সবে বলে শুন দ্বিজরাজে। যাহা ইচ্ছা হয় তাহ চাহ মহারাজে। কারো কিছু নাই লই করি পরিহার। যথা ঘাই তথায় গৌরব মাত্র সার ৷ (১) খরা=রৌদ্র। যথা—“জ্যৈষ্ঠে খরা। আষাঢ়ে ধারা। শস্তের ভার না সহে ধরা ”—থণা। (২) সানে=সঙ্কেত। যথা– সখী সব দেখাইয়া অঙ্গুলীর সানে।’ —রাজেন্দ্রদাসের শকুন্তলা। (৩) পাটের পাছড়া=পট্টবস্ত্র। ‘পাটের পাছড়া শঙ্ক প্রাচীন সাহিত্যে অনেক স্থলেই পাওয়া যায়। “বিনে বান্দী নাহি পিন্দে পাটের পাছড়া”—মাণিকচন্দ্রের গান, ১ ও শ্লোক। “পাটের পাছড়া পৃষ্ঠে ঘন উড়ে যায়। ধরায় আঁচল লুটি পড়ি যায় পাএ॥”—শ্রীকৃষ্ণ-বিজয়। 8సిరి