পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৭০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qー 。 কস্তার অদর্শনে লক্ষ্মণের ব্যাকুলত। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। না দেখিল চন্দ্রকলা গেল কোন্‌ ভিত। মনে মনে মহাবীর হইল চিন্তিত ৷ নয়নে না দেখি পথ সর্ব্ব অন্ধকার। পাপী সবে ঘেমতে না দেখে স্বৰ্গ-দ্বার॥ ক্ষুধাএ বিকল যেন ক্ষুধাতুর জন। ধন হীরাইয়া যেন বিলপে কৃপণ॥ কি দেখিলুম ক্ষিতি-তলে বদন-মাধুরী। সেই নীল-কান্তি মনে বিস্মরিতে নারি॥ অলজয্য যে প্রেম-বাণে দহে কলেবর। ঘন ঘন শ্বাস মুখে বহে নিরন্তর। এমত দেখিয়া সবে বলিল বচন। বিচলিত মন কেনে রঘুর নন্দন। হনুমন্ত সম্বোধিয়া বলে রাজগণ। বিরস বদন কেনে ধানুকী লক্ষ্মণ॥ হস্তযোড়ে দাড়াইল পবন-নন্দন। বদন তুলিয়া চাহ নর-নারায়ণ। কোন চিন্ত ভাব গোসাঞি কহ আহ্মা স্থানে। তোহ্মার তাসাধ্য কিবা এ তিন ভুবনে৷ লক্ষ্মণে বোলেন বাপু শুন মোর বাণী। সূর্য্য-বংশে মোর সম কেবা আছে মানী॥ দেবতা করিলুম বশ মেঘনাদ জিনি। আসিতে বলিল মোরে রঘুবংশ-মণি॥ সেই তপোবন দেখ মিলিল আসিয়া। মোর প্রাণ দহে বাপু কস্তার লাগিয়া৷ ব্যর্থ মোর রাজ্য ধন জীবন যৌবন। যদি বা এহার সনে না হয় দর্শন॥ কোথা গেল চন্দ্রকলা না দেখিল আর। জন্মান্তরে পাপ কিবা করিল অপার॥ জন্মান্তরে ভোগ কিবা আহ্মি সে বঞ্চিল। তবে কেনে বিধি মোরে বঞ্চিত হইল৷ না করিব যুদ্ধ আহ্মি সব যাও ঘর। তপস্বী হইল তান্ধি যাইব দেশান্তর॥