পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৭০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ – দ্বিজ ভবানী – ১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগ। Qbr" তার পাছে পুরবাসী যত যত নারী। স্নান করাইয়া দিল অলঙ্কার সাড়ী ৷ কপালে সিন্দুর-ফোটা দেখিতে সুন্দর। সখীগণ সঙ্গে চলে যথা স্বয়ম্বর॥ শঙ্খ ঘণ্টা বীণা বাদ্য জোকারের নাদ। নারীগণে গীত গাহে শুনিতে সুস্বাদ ৷ পিনাক বরাহ বাদ্য রুদ্র কপীনাস। শুনিয়া এ সব ধ্বনি সভার উল্লাস ৷ ঢাক ঢোল নানা বাদ্য বাজে ঘন ঘন। স্বয়ম্বর-স্থানে গিয়া দিল দরশন। এথা বীর যুবরাজ আসিবার তরে। সাজিয়া সকল বীরে সিংহনাদ করে ৷ পুণ্যবন্ত রাজা নরপতি জয়চন্দ্র। শ্লোক ভাঙ্গি অভিষেক কৈল পদবন্দ॥ উত্তম ভবানী দ্বিজ রচিল পয়ার। ইতিহাস ভবসিন্ধু পাপ তরিবার। (১) (১) নোয়াখালির নিকট কোন স্থানে এই জয়চন্দ্র নৃপতির রাজধানী ছিল। এই পুস্তক তাহারই আদেশে দ্বিজ ভবানী কর্তৃক বিরচিত হয়। পুস্তক রচনার পারিশ্রমিক ও উদ্দেশ্যে পুথির শেষে এই ভাবে বিবৃত হইয়াছে। জয়চন্দ্র নরপতি রাম ইতিহাস অতি যত্নে সে করিল পদবন্দ। দ্বিজবর ভবানী আপন সাক্ষাৎ আনি দিনে দিনে দশ মুদ্রা দান। শুন শুন দ্বিজবর ভবসিন্ধু পার কর লিথিয়া রামের গুণকথা। আহ্মার যে অধিকার প্রজা সব দুর্ব্বার দিনে দিনে যত পাপ করে। কর এ অশেষ পাপ মহাদুঃখ সন্তাপ এহ হতে উদ্ধার আমারে॥